Advertisement
Advertisement
Sheikh Hasina

হাসিনার পদত্যাগের পর ১৩ মাসে বাংলাদেশে গ্রেপ্তার ৪৪ হাজার, অধিকাংশই আওয়ামি নেতা-কর্মী!

যাঁরা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাঁদের মধ্যে ২৭ শতাংশ জামিন পাননি।

44,000 arrested in Bangladesh in 13 months after Sheikh Hasina's resignation
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:September 28, 2025 6:39 pm
  • Updated:September 28, 2025 8:42 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর বাংলাদেশে গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এর মধ্যেই পদ্মপাড়ের পুলিশের তরফে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশ্যে এল। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ১৩ মাসে বাংলাদেশে গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রায় ৪৪ হাজার ৪৭২ জন। ধৃতদের প্রায় প্রত্যেকেই আওয়ামি লিগের নেতা বা কর্মী। এদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত জামিন পেয়েছেন ৩২ হাজার ৩৭১ জন। জামিন পাননি ৩৭ শতাংশ। এমন রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে মহম্মদ ইউনুসের শাসনযন্ত্রের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

Advertisement

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বাংলাদেশের পুলিশ সদর দপ্তর ‘ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও জামিন সংক্রান্ত তথ্য’ প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ঢাকায় গ্রেপ্তার হন ৭ হাজার ৩৫৫ জন, জামিন পান ৪ হাজার ৮০৬ জন (৬৫%)। রাজশাহী রেঞ্জে গ্রেপ্তার ৫ হাজার ১৮, জামিন ৪ হাজার ২২১ (৮৪%)। খুলনায় গ্রেপ্তার ৫ হাজার ৯৯২, জামিন ৪ হাজার ৫৫৪ (৭৬%)। বরিশালে গ্রেপ্তার ১ হাজার ৭৭৬, জামিন ১ হাজার ৫৫৫ (৮৮%)। রংপুরে গ্রেপ্তার ৩ হাজার ৮৯১, জামিন ২ হাজার ৭১৪ (৭০%) এবং ময়মনসিংহে গ্রেপ্তার হন ৩ হাজার ৩৬ জন, জামিন পান ১ হাজার ৪৪৩ জন (৪৮%)।

প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজনৈতিক কারণে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৭৩ শতাংশ জামিন পাওয়ায় অখুশি বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মনে করা হচ্ছে, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ জমা দেওয়ার বিষয়ে পুলিশের দুর্বলতা রয়েছে। এই কারণেই আদালত অধিকাংশ ব্যক্তিকে ছেড়ে দিচ্ছে। উল্লেখ্য, বৈষম্যে বিরোধী ছাত্রদের আন্দোলনের জেরে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়লে সক্রিয় হয়ে ওঠে জামাত শিবির। তারা চড়াও হয় মূলত হাসিনার সমর্থক তথা আওয়ামি লিগের নেতা ও কর্মীদের উপরে। সমর্থকদের মারধর, খুন, বাড়িতে ডাকাতি সবই চলতে থাকে। অভযোগ, প্রশাসন দুষ্কৃতীদের বাধা দেয়নি।
এইসঙ্গে যুক্ত হয় ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস’।

বাংলাদেশে আওয়ামি লিগ নিষিদ্ধ হওয়ার পর ঢাকা-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ‘ঝটিকা মিছিল’ বার করেছিলেন হাসিনার দলের কর্মী-সমর্থকেরা। সেই সমস্ত মিছিল থেকেও অনেক জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, গোটাটাই ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’। স্বভাবতই অধিকাংশের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ দিতে পারেনি পুলিশ। ফলে আদালতের নির্দেশে তারা ছাড়া পাচ্ছেন।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ