Advertisement
Advertisement
Bangladesh

ঢাকার ইসকন সেন্টারে আগুন, পুড়ল লক্ষ্মীনারায়ণের মূর্তি! দ্বেষের বাংলাদেশে থামছে না হিংসা

প্রশ্ন উঠছে, এটাই কি 'নতুন' বাংলাদেশ? যেখানে যতদিন যাচ্ছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচার বাড়ছে। হিংসার হাত রেহাই পাচ্ছে না ধর্মীয় স্থানও।

Another ISKCON Centre allegedly burned down in Bangladesh
Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:December 7, 2024 12:08 pm
  • Updated:December 7, 2024 1:46 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্বেষের বাংলাদেশে থামছে না হিংসা। এবার ঢাকার এক ইসকন সেন্টারে আগুন লাগিয়ে দিল দুষ্কৃতীরা! হামলা হয়েছে মন্দিরেও। পুড়ে গিয়েছে লক্ষ্মীনারায়ণের মূর্তি। এমনই দাবি করেছেন কলকাতার ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস। নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে, এটাই কি ‘নতুন’ বাংলাদেশ? যেখানে যতদিন যাচ্ছে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর অত্যাচার বাড়ছে। হিংসার হাত রেহাই পাচ্ছে না ধর্মীয় স্থানও। মারধরের পাশাপাশি পিটিয়ে মেরে ফেলারও অভিযোগ উঠছে। 

Advertisement

ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি, সন্ন্যাসী চিন্ময় প্রভুর গ্রেপ্তারি, হিন্দু নির্যাতনের মতো ঘটনায় গত মাস দেড়েক ঘরে উত্তাল বাংলাদেশ। সংখ্যালঘু নিপীড়নের প্রতিবাদে কলকাতা, দিল্লি, ত্রিপুরার মতো নানা জায়গায় পথে নেমেছে সাধারণ মানুষ ও বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন। এর মাঝেই ফের এক ধর্মীয় হিংসার ঘটনা প্রকাশ্যে এল। আজ শনিবার সকালে কলকাতার ইসকনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস এক্স হ্যান্ডেলে জানান, ‘বাংলাদেশে আরও এক ইসকনের নামহাট্টা সেন্টার পুড়ে গিয়েছে। ঢাকায় অবস্থিত শ্রী শ্রী লক্ষ্মীনারায়ণের মন্দিরের ভিতরের সমস্ত জিনিসপত্রও সম্পূর্ণরূপে পুড়ে গিয়েছে। আজ ভোর ৩টের মধ্যে, দুষ্কৃতীরা শ্রী শ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির এবং শ্রী শ্রী মহাভাগ্য লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দেয়। যা ধৌর গ্রামে অবস্থিত হরে কৃষ্ণ নামহট্ট সংঘের অধীনে পড়ে। মন্দিরের পিছনের টিনের ছাদ ভেঙে পেট্রোল বা অকটেন ব্যবহার করে আগুন লাগানো হয়।’

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ইউনুসের সঙ্গে বৈঠক করেন ধর্মীয় নেতারা। সেখানে তাঁরা রাজধানীতে ‘আন্তর্জাতিক ধর্মীয় সম্প্রীতি সম্মেলন’ করার প্রস্তাব দেন। বৈঠকে ছিলেন আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ, রমনার সেন্ট মেরি’স ক্যাথেড্রালের ফাদার আলবার্ট রোজারিও, বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দ প্রিয়, রমনা হরিচাঁদ মন্দিরের সহ-সম্পাদক অবিনাশ মিত্র, গারো পুরোহিত জনসন ম্যুরি থামাল। আলোচনা শেষে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে শায়খ আহমাদুল্লাহ দাবি করেন, “আমাদের দেশের সংখ্যালঘু ভাইয়েরা নিরাপদে আছেন এবং আরও নিরাপদ থাকবেন। তাঁদের নিরাপদ রাখার জন্য সরকার যেমন কাজ করছে, ধর্মীয় নেতৃত্বও কাজ করছেন।” এই একই সুর শোনা যায় গারো পুরোহিত জনসন ম্যুরির গলায়। আর ধর্মীয় সম্প্রীতি সম্মেলনের আহ্বান জানানোর পরই ইসকন সেন্টার ও মন্দিরে হামলা চালানোর ঘটনা সংবাদের শিরোনামে উঠে এল।

এদিকে, বৃহস্পতিবারই রাতে খাগড়াছাড়ি এলাকায় হিন্দু জাগরণ মঞ্চের আহ্বায়কের বাড়িতে হানা দেয় একদল যুবক। বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। সেই সময়ই বাধা দিতে যান ওই নেতার মা চুমকি দাস। রেহাই পাননি তিনি। বেধড়ক মারধর করা হয় ওই মহিলাকে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ইউনুস সরকারকে কড়া বার্তা দিচ্ছে ভারত। অশান্ত পরিস্থিতিতেই আগামী ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশে যাচ্ছেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ