সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেই দুপুর থেকে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত – এখনও নিয়ন্ত্রণে এল না ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড। কার্গো ভিলেজের একাংশ আগুনের দাপটে কার্যত ‘জতুগৃহ’ হয়ে উঠেছে। আগুন নেভাতে সেনা, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনীর কর্মীদের নামিয়েও বিশেষ লাভ হয়নি। প্রাণপণ চেষ্টা করেও এত ঘণ্টা পর আগুনকে বাগে আনা গেল না। কাজ করতে গিয়ে ১৭ জন জখম হয়েছেন বলে খবর মিলেছে। বাংলাদেশের অসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে সংকটজনক পরিস্থিতি। দ্রুত আগুন নিভিয়ে রাতের মধ্যে বিমানবন্দর চালু করার প্রচেষ্টা করছেন তাঁরা।
শনিবার দুপুর ২টোর পর বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ অর্থাৎ পণ্য যেখানে রাখা হয়, সেখানে আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে উড়ান পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিমানগুলি ঘুরপথে চট্টগ্রামে অবতরণ করে। কোনও কোনও বিমান ট্যাক্সি বে-তে অপেক্ষা করে। দমকলের অন্তত ৩৭টি ইঞ্জিন, সেনাবাহিনী কাজ নামে। কিন্তু এত ঘণ্টা পরও আগুন পুরোপুরি আয়ত্ত্বে এল না। বরং আগুন নেভাতে গিয়ে দমকল কর্মীদের কয়েকজন আহত হন।
বাংলাদেশের অসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন সন্ধ্যায় অগ্নিকাণ্ডের স্থল পরিদর্শন করে বলেছেন, ”আমরা যত দ্রুত পারি বিমানবন্দর চালু করব। কারণ আপনারা জানেন, এয়ারপোর্টে এই মুহূর্তে বিমান ওঠানামা বন্ধ আছে। আমরা চেষ্টা করছি যে, যত দ্রুত পারি আজ রাতের মধ্যে বিমান চলাচল চালু করব।” তিনি আরও জানান, বিমানবন্দরের আমদানিকৃত পণ্যের জায়গাতেই আগুন ছড়িয়েছে। রপ্তানি যেখানে মজুদ থাকে, সেখানে কোনও সমস্যা হয়নি। আগুন আপাতত কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখন মূল লক্ষ্য কত দ্রুত বিমান ওঠানামার পরিকাঠামো নতুন করে চালু করা। রাতেই বিমানবন্দরের কাজকর্ম চালু করার ব্যাপারে সকলে মিলে বৈঠকে বসেন। তারপর সময়সূচি স্থির করা হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.