নিজস্ব ছবি
সুকুমার সরকার, ঢাকা: পেটপুরে ইলিশ খাওয়ার আনন্দের কোনও ভাগ হয়না। আর এই আনন্দ পাওয়ার জন্য মানুষ কতদুর যেতে পারে তার উদাহরণ দেখা গেল বাংলাদেশে। পড়শি দেশের দক্ষিণের জেলা পটুয়াখালীর মৎস্য বন্দর মহিপুরে এই ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, আড়াই কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছে ১৪ হাজার টাকায়। বৃহস্পতিবার নৌ-বন্দরের ফয়সাল ফিসে নিলাম এই মাছটির। কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে শহিদ মাঝি নামের এক মৎস্যজীবীর জালে অন্যান্য মাছের সঙ্গেই ধরা পড়ে এই ইলিশটি।
ফয়সাল ফিসের মালিক মহম্মদ মেহেদি ফয়সাল জানান, বড় সাইজের ইলিশ খুব বেশি পাওয়া যায় না। মাছটি খোলা বাজারে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি হয়। প্রতি কেজির দাম ওঠে ৫ হাজার ৬০০ টাকা। সেই হিসেবে আড়াই কেজির এই ইলিশটি ১৪ হাজার টাকায় কেনেন এক মাছ ব্যবসায়ী। মৎস্য ব্যবসায়ী ইশতিয়াক বলেন, ভালো দামের আশায় ইলিশটি ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এই উপজেলার বরিষ্ঠ মৎস্য আধিকারীক অপু সাহা বলেন, বড় সাইজের ইলিশ মৎস্যজীবীদের জন্য সুখবর নিয়ে আসে। গভীর সমুদ্রের মৎস্যজীবীদের পাশাপাশি উপকূলেও এখন বড় ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, নোয়াখালী জেলার হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটে ৮০টি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ২ লাখ ১৩ হাজার টাকায়। এদিন মাছের আড়তে নিলাম করে ইলিশগুলো বিক্রি করা হয়। আড়তদাররা জানিয়েছেন, এর মধ্যে কিছু ইলিশের ওজন দুই কেজিরও বেশি। হাতিয়ার এক মৎস্যজীবী ইলিশগুলি আড়তে আনেন নিলাম করার জন্য। সেখানেই এক ব্যবসায়ী ২ লাখ ১৩ হাজার টাকায় সেগুলো কিনে নেন। আড়তের ম্যানেজার বলেন, এগুলো সেরা সাইজের ইলিশ। তাই ব্যবসায়ীরা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে এগুলো কিনে নেন। আড়তের মালিক জানান, এমন ইলিশ খুব বেশি পাওয়া যায় না। মাছের মান ভালো ও আকার বড় হলে দাম বেশি হওয়া স্বাভাবিক। তাঁদের দাবি, মৎস্যজীবীরা ঝুঁকি নিয়ে মাছ ধরেন, ভালো দাম পেলে তাঁরা খুশি হন। হাতিয়া উপজেলার মৎস্য আধিকারীক মহম্মদ ফাহাদ হাসান বলেন, মাছ ধরার উপরে সরকারের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ায় নদী ও সাগরে বড় মাছের দেখা মিলছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.