Advertisement
Advertisement
Bangladesh

মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধার বার্তা সেনার, ইউনুস প্রশাসনের সঙ্গে ফাটল আরও চওড়া?

'মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমেই এ দেশ সৃষ্টি হয়েছে', জানিয়ে দিল সেনা।

Bangladesh Army pays tribute to freedom fighters
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:September 9, 2025 8:30 pm
  • Updated:September 9, 2025 8:30 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মব বা গণসন্ত্রাস সৃষ্টি করে মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযুদ্ধকে ‘ছোট করার’ কোনও সুযোগ নেই, ঘুরিয়ে ইউনুস প্রশাসনকে বার্তা দিল বাংলাদেশের সেনাবাহিনী। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে সেনার এই অবস্থান তুলে ধরেন সামরিক অপারেশন দপ্তরের কর্নেল স্টাফ শফিকুল ইসলাম। সারা দেশে নিয়োজিত সেনাবাহিনীর কার্যক্রম তুলে ধরতে ঢাকার বনানীতে স্টাফ রোডের মেসে এই সংবাদিক সম্মেলন হয়। সেখানে মব সন্ত্রাসের নানা ঘটনা তুলে ধরে সেনাবাহিনীর বক্তব্য জানতে চাইলে শফিকুল বলেন, “গত এক বছর ধরে ধৈর্যের সঙ্গে এবং পরিশ্রমের সঙ্গে সরকার ও জনগণের জন্য আমরা কাজ করছি। আইনশৃঙ্খলা উন্নতি করা বা রক্ষা করা শুধু সেনাবাহিনীর কাজ নয়। ‘ম্যাজিস্ট্রেসি’ পাওয়ার দেওয়া হয়েছে বাহিনীকে। আমরা গ্রেপ্তার, আটক ও হস্তান্তর করতে পারি। তবে সাজা দিতে পারি না।”

Advertisement

শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব অংশীদারকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। এরই মধ্যে সম্মিলিতভাবে কাজ করা শুরু হয়েছে। একত্রে কাজ করলে সামনের দিনগুলোতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও ভালো হবে বলে আশা করি।” মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমেই এদেশ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করি, শ্রদ্ধা করি অন্তরের অন্তরস্থল থেকে। এধরনের শ্রদ্ধা-সম্মান আগেও যেমন করেছি, এখনও করি, ভবিষ্যতেও করব।” তিনি আরও বলেন, “কোনও মব বা কোনও কিছু দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিযুদ্ধকে ছোট করার সুযোগ নেই।”

মবের বিষয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা তুলে ধরে সেনা কর্মকর্তা বলেন, “যেখানে যখন মব (সন্ত্রাস) হয়েছে, সেখানে দ্রুততার সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তবে কয়েকটি জায়গায় সোর্স থেকে তথ্য পেতে দেরি হয়েছে।” সেনাকর্তা বলেন, “আর যেকোনও ঘটনা ঘটার পর সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যায়, তারপরে সেনাবাহিনীকে অনুরোধ করা হয়, এর মধ্যেই কিছু হয়ে গেলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায় নিতে পারে না।”

মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমানের বাসার সামনে ‘মব’ সৃষ্টির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “আমরা যখনই মেসেজ পেয়েছি, সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্ব প্রাপ্ত সদস্যরা ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছেন।” ডাকসু নির্বাচনে সাইবার বুলিং হওয়ার যে অভিযোগ উঠছে, সংবাদ সম্মেলনে সে প্রসঙ্গও আসে। এই বিষয়ে কর্নেল স্টাফ শফিকুল ইসলাম বলেন, “ডাকসু নির্বাচনের সঙ্গে সেনাবাহিনীর কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই; আগেও বলেছি। তবে কিছু অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা হয়েছে। এই অপপ্রচারে কেউ কোনও সুবিধা করতে পারেনি।” ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে একটি সুস্থ পরিবেশে গণতান্ত্রিক চর্চা হবে, এটাই চাওয়া বলে মন্তব্য করেন এ সেনা কর্মকর্তা।

জাতীয় নির্বাচনে প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমরা কোনও আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা পাইনি। তবে নির্বাচন কমিশন থেকে যে দায়িত্ব দেওয়া হবে, সে অনুযায়ী পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করব।” অস্ত্র উদ্ধারের অভিযান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “হারানো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে ৮০ শতাংশ।” যত দ্রুত সম্ভব বাকি অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনের পর অনানুষ্ঠানিকভাবে নানা বিষয়ে কথা বলেন সামরিক অপারেশন পরিদপ্তরের নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মহম্মদ মনজুর হোসেন।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ