সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুমখুন, বেআইনিভাবে আটক করে অত্যাচার-সহ একাধিক অভিযোগে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৫ জন অফিসারকে হেফাজতে নিল সেনা সদর। তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এই ১৫ জনকে আদালতে এনে বিচার হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মহম্মদ তাজুল ইসলাম।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে তাজুল ইসলাম বলেন, “আমাদের কাছে যেহেতু আনুষ্ঠানিকভাবে ডকুমেন্টারি পদ্ধতিতে কেউ বলেননি যে আটক রাখা হয়েছে, মিডিয়াতে যেটা এসেছে, সেটা আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি না। যেহেতু আমরা জানি না, তাই এ বিষয়ে আমি মন্তব্য করব না। আমাদের যদি বলা হয় যে আটক রাখা হয়েছে, তাহলে আইন অনুযায়ী তাঁকে অবশ্যই আদালতের কাছে আনতে হবে। এটাই বিধান।”
প্রসঙ্গত, অবসরপ্রাপ্ত এবং কর্মরত মিলিয়ে মোট ২৫ জন সেনা কর্তার বিরুদ্ধে গুমখুন, বেআইনিভাবে আটক করে অত্যাচার করার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযোগ জমা হয়েছে ট্রাইব্যুনালে। একই মামলায় নাম আছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর মন্ত্রিসভার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের। নাম আছে বেশ কয়েকজন প্রাক্তন শীর্ষস্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তার। ২৫ সেনা কর্মকর্তার মধ্যে ১৫ জন কর্মরত।
শনিবারই বাংলাদেশ সেনার অফিসার সূত্রে জানানো হয়, গত ৮ অক্টোবর তাঁরা জানতে পারেন, বর্তমান ও প্রাক্তন মিলিয়ে ২৫ জন অফিসারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ২৫ জনের নয়জন ইতিমধ্যে অবসর গ্রহণ করেছেন। একজন অবসর নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আর ১৫ জন এখনও সেনায় কর্মরত আছেন বলে দাবি করা হয়েছে। সেনা সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, ওই ১৬ জনের মধ্যে গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাক্তন সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কবীর আহম্মদ ছাড়া বাকি সবাই এখন সেনা হেফাজতে আছেন। কবীর আহম্মদ এখন আত্মগোপনে। কবীরের প্রসঙ্গে মেজর জেনারেল মহম্মদ হাকিমুজ্জামান জানিয়েছেন, তিনি ৯ অক্টোবর সকালে আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করতে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর আর ফিরে আসেননি। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করাও যাচ্ছে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.