Advertisement
Advertisement

Breaking News

Bangladesh

‘স্তন কি প্রয়োজনীয় অঙ্গ নয়?’ তসলিমার গর্জনের পরেই তালিবানি পোশাক ফতোয়া প্রত্যাহার বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের

মহিলা কর্মীদের ছোট হাতা, স্বল্প দৈর্ঘ্যের পোশাক এবং লেগিংস পরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক।

Bangladesh Bank withdraws Dress fatwa after Taslima Nasrin protests
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:July 24, 2025 4:50 pm
  • Updated:July 24, 2025 5:24 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিধন, খুন করে প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে দেওয়া, পুলিশ-হত্যা, নারী নির্যাতন, চুরি-ডাকাতি হুড়মুড় করে বেড়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিত নিয়ে উদ্বিগ্ন বিএনপি-র মতো রাজনৈতিক দলগুলি। বিশ্লেষকদের একাংশের বক্তব্য, কট্টরপন্থী মহম্মদ ইউনুস এবং মৌলবাদী জামাতের শাসনে দিনে দিনে আফিগানিস্তান হয়ে উঠছে বাংলাদেশ! এই অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের তালিবানি পোশাক ফতোয়া সে কথাই প্রমাণ করল। সম্প্রতি ব্যাঙ্কের মহিলা কর্মীদের ছোট হাতা, স্বল্প দৈর্ঘ্যের পোশাক এবং লেগিংস পরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কর্তৃপক্ষ। যদিও চাপের মুখে সেই ফতোয়া তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক। সমাজমাধ্যমে পোশাক নিয়ে বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন লেখিকা তসলিমা নাসরিন।

Advertisement

গত ২১ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের মানবসম্পদ বিভাগ কর্মচারীদের পোশাক সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেখানে বলা হয়, মহিলার শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ-ওড়না মতো ‘পেশাদার শালীন’ পোশাক পরবেন। বাতিল করা হয় শর্ট স্লিভ ও লেংথের ড্রেস, অর্থাৎ ছোট হাতা ও ছোট দৈর্ঘ্যর পোশাক এবং লেগিংস। এছাড়াও সাদামাটা হেড স্কার্ফ বা হিজাব পরতে বলা হয়। অন্যদিকে পুরুষদের ক্ষেত্রে লম্বা বা হাফ হাতা ফরমাল শার্ট এবং প্যান্ট পরতে বলা হয়েছে। এই পোশাক ফতোয়া প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা।

বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে তালিবানি ফতোয়ার বিরুদ্ধে মুখ খোলেন জনতার একাংশ। সরব হন বুদ্ধিজীবীরাও। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের পোশাকবিধির সমালোচনা করেন সাহিত্যিক তসলিমা নাসরিন। ‘আমার মেয়েবেলা’র লেখিকা ফেসবুকে লেখেন, “শুধু সালোয়ার কামিজ পরলে চলবে না, ওড়না পরতে হবে। কেন ওড়না পরতে হবে? স্তন আছে বলে? স্তন কি প্রয়োজনীয় অঙ্গ নয় নারীর শরীরের?সেটিকে একের পর এক কাপড় দিয়ে ঢাকতে হবে কেন? স্তন কি লজ্জার জিনিস যে লুকোতে হবে? স্তনকে লজ্জার জিনিস তারাই মনে করে যারা নারীর আস্ত শরীরকেই লজ্জাকর বলে মনে করে। তারা শুধু ওড়না নয়, নারীর গায়ে হিজাব আর বোরখাও চড়িয়েছে। তারা পুরুষের শরীরকে লজ্জাকর বলে মনে করে না, তাই ওড়না,হিজাব,বোরখাকে পুরুষের পোশাক বলে ঘোষণা করেনি।”

ঘরে-বাইরে চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার দুপুরেই তালিবানি পোশাক ফতোয়া তুলে নেয় বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক। নতুন বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাঙ্কে কর্মরত সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় অফিসে পেশাদার ও মার্জিত পোশাক পরার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে এই বিষয়ে কোনও নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি, কোনও সার্কুলারও জারি হয়নি। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “মিডিয়ার মাধ্যমে বিষয়টি চোখে পড়ে বর্তমানে বিদেশে থাকা বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের গভর্নরের। তিনি এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাঁর নির্দেশ মতো বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করা হল।” এর পরেও অবশ্য সমাজকর্মীদের বক্তব্য, পোশাক নিয়ে এই নির্দেশিকাই প্রমাণ করে দেয় ইউনুসের বাংলাদেশ কোন পথে এগোচ্ছে। বর্তমান পশ্চাদপসরণই তার ভবিতব্য।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement