Advertisement
Advertisement
Bangladesh

মুজিবের কবর ভাঙতে গিয়ে মার খেল ইউনুসের ‘বিপ্লবী’ ছাত্ররা, আওয়ামি-গড় গোপালগঞ্জে হিংসার বলি ৩

বুলেটের জখম নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও ৯।

Bangladesh boils as NCP clashes Awami supporters
Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:July 16, 2025 7:15 pm
  • Updated:July 16, 2025 7:53 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংঘর্ষে উত্তাল বাংলাদেশ। হাসিনা-গড় গোপালগঞ্জে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত তিন। বুলেটের জখম নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আরও ৯। বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মস্থান গোপালগঞ্জে একটি জন সমাবেশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রেদের রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। পাশাপাশি তাঁরা মুজিবের কবর ভাঙার কর্মসূচিরও ডাক দিয়েছিল তাঁরা। শেখ হাসিনার পতন উদযাপনে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশ ঘিরে সকাল থেকেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। আওয়ামি লিগ প্রবল প্রতিরোধের মুখে পড়ে তথাকথিত বিপ্লবী ছাত্ররা। অভিযোগ, সভামঞ্চে হামলা চালিয়ে তাঁদের মারধর করে আওয়ামি নেতারা। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসে সেনা ও পুলিশ।

Advertisement

আজ ‘জুলাই গণ অভ্য়ুথ্থানে’র এক বছর পূর্ণ হয়েছে। বাংলাদেশে আজ এই দিনটি ‘জুলাই শহিদ দিবস’ হিসাবে পালিত হচ্ছে। গত বছর এই সময়ই হাসিনার পতনের সূচনা হয়েছিল। এই কারণে এবছরের  ১ জুলাই থেকে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করছে এনসিপি। এর মধ্যে দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় এই কর্মসূচি পালন করেছে দলটি। মাসব্যাপী এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ গোপালগঞ্জে পদযাত্রা করে দলটি।

এই পদযাত্রাকে ঘিরে আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার উলপুর-দুর্গাপুর সড়কের খাটিয়াগড় চরপাড়ায় পুলিশের গাড়িতে হামলা ও আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। খবর পেয়ে ওই এলাকা পরিদর্শনে যান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম রাকিবুল হাসান। সেখান থেকে ফেরার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার কংশুরে ইউএনওর গাড়িতে হামলা করা হয়। এ ঘটনায় তাঁর গাড়ির চালক আহত হন। এরপর ফের এনসিপির নেতারা সভা করতে গেলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তাঁদের অভিযোগ, ২০০-৩০০ জন এসে হামলা চালায়। সকলেই আওয়ামির কর্মী সমর্থকরা। তাঁরা চারদিক থেকে এনসিপির নেতা-কর্মী ও পুলিশের গাড়ি আটকে দেয়।

এ সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। এনসিপির নেতা-কর্মীরা অন্যদিক দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মহম্মদ কামরুজ্জামান জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেন। পরে জানা যায় সংঘর্ষে তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তি আরও ৯। বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জীবিতেষ বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, বিকেলে তিনজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাঁরা গুলিবিদ্ধ ছিলেন। এদিকে, সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হামলা, সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনার পর জেলাটিতে আজ রাত আটটা থেকে  আগামীকাল সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকবে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ