সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রূপালি শস্য ইলিশ যে মহার্ঘ তা বলা বাহুল্য। বাজারে সোনার মূল্যে বিকোলেও মায়াটান এড়াতে পারে না রসিকজন। তাই বলে ইলিশ বাঁচাতে যুদ্ধজাহাজের পাহারা? এমনকী আকাশপথেও নজরদারি? বাস্তবেই এমন কাণ্ড ঘটেছে পদ্মা-মেঘনা-বুড়িগঙ্গার দেশে। বাংলাদেশের একাধিক নদী এবং উপকূল সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে জলসীমায় জলপথ ও আকাশপথে নজরদারি চালাচ্ছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। ইলিশ পাহারায় মোতায়েন কার হয়েছে ড্রোন এবং হেলিকপ্টারও।
প্রজননের মরশুমে ইলিশ ধরায় আখেরে ক্ষতি হয় মৎস্য ব্যবসার। জীব বিজ্ঞানীদের পরামর্শ মেনে ৪ অক্টোবর থেকে আগামী ২৫ অক্টোবর অবধি ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে এবারে। সেই নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যাতে ইলিশ চুরি না হয় তার জন্যই কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে মহম্মদ ইউনুস প্রশাসন। সেই কারণেই জলসীমায় ১৭টি রণতরী মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও আকাশ থেকে ড্রোন এবং হেলিকপ্টার নজরদারি চালাচ্ছে। কিন্তু শুধুই কি নিষেধাজ্ঞা না মানা মৎস্যজীবীদের নিয়ে উদ্বেগ?
অন্য কারণও রয়েছে। সাম্প্রতিককালে পশ্চিমবঙ্গের মৎস্যজীবীরা ভুল করে বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে বিপদে পড়েছেন। তাঁদের পাকড়াও করে বাংলাদেশের উপকূলরক্ষা বাহিনী। মোট ৯৫ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছিল বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজক পরিস্থিতি তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত বন্দিবিনিময়ের মাধ্যমে ভারতে ফেরত আসেন তাঁরা। ভারত থেকেও বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয় সে দেশের ৯০ জন মৎস্যজীবীকে। বাংলাদেশের মৎস্য মন্ত্রকের ইলিশ বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর ফিরোজ আহমেদ বলেন, “ইলিশের নিরাপদ প্রজনন নিশ্চিত করার জন্য ড্রোনের মাধ্যমে নদী এবং সামুদ্রিক জলপথে আমরা নজরদারি চালাচ্ছি।”
বাংলাদেশে নৌবাহিনীর তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গভীর সমুদ্রে দেশি-বিদেশি জেলেদের অনুপ্রবেশ রোধে যুদ্ধজাহাজ, হেলিকপ্টার এবং ড্রোনে সর্বক্ষণ নজরদারি চালানো হচ্ছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ ইলিশ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। সূত্রের খবর, এখন ঢাকার বাজারে গড়ে প্রতি কেজি ইলিশের দাম ২,২০০ টাকা (বাংলাদেশি মুদ্রায়)। এই অবস্থায় অর্থের লোভে প্রজনন নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা নতুন কথা নয়। তা রুখতেই অতিরিক্ত পাহারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.