Advertisement
Advertisement

Breaking News

Bangladesh

বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২টি স্থাপনার নামবদল, ইতিহাস মুছতে তৎপর ইউনুসের বাংলাদেশ!

সোশাল মিডিয়ায় বিতর্কের ঝড় উঠেছে এই সিদ্ধান্তে।

Bangladesh govt change 12 department name of Rajshahi University
Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:May 23, 2025 2:05 pm
  • Updated:May 23, 2025 2:06 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৭১ মুছে নতুন বাংলাদেশে পাকিস্তান প্রেমের জোয়ার বইয়ে দিতে চাইছে মৌলবাদীরা। আর সেই ষড়যন্ত্রে প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে উপদেষ্টা সরকার মহম্মদ ইউনুসের। দেশের  অতীত ইতিহাস সুকৌশলে মুছতে এবার বাংলাদেশের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২টি স্থাপনার নাম বদল করল কর্তৃপক্ষ। গত ২২ মে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩৯তম সিন্ডিকেট সভায় এসব ভবনের নাম পরিবর্তন করা হয়। এই ঘটনায় বিতর্ক চরম আকার নিয়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ইফতিখারুল আলম মাসুদ জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২টি স্থাপনার নাম বদল করা হয়েছে। পাশাপাশি নির্মীয়মাণ শেখ হাসিনা হল, শহিদ কামারুজ্জামান হলের নাম চালু হওয়ার আগেই তা পরিবর্তন করা হবে। সিন্ডিকেটের তরফে জানা যাচ্ছে, ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত এই সমস্ত নাম বদলে, ২৪-এর জুলাই আন্দোলনের নামে করা হচ্ছে। যেমন, শেখ মুজিবুর রহমান হলের নাম বদলে করা হচ্ছে ‘বিজয় ২৪ হল’। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের পরিবর্তে ‘জুলাই-৩৬ হল’, সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের পরিবর্তে ‘প্রশাসন ভবন-১’, মনসুর আলি প্রশাসন ভবনের পরিবর্তে ‘প্রশাসন ভবন-২’, শহিদ তাজউদ্দিন আহমদ সিনেট ভবনের পরিবর্তে ‘সিনেট ভবন’ নামকরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া শেখ কামাল স্টেডিয়াম, ড. কুদরত-ই-খুদা একাডেমিক ভবন, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবন, কৃষি অনুষদ ভবন, শেখ রাসেল মডেল স্কুলের নাম বদল করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি আবাসিক হল ও একটি স্কুলের নামফলক ভেঙে নতুন নামকরণ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। জানা যায়, শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের এইসব নামফলক, গ্রাফিতি ও দেয়াললিখন মুছে দেওয়া হয়। এবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশাসনের উদ্যোগে শুরু হল নাম বদলের আড়ালে ইতিহাস মোছার ষড়যন্ত্র। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সোশাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন বহু শিক্ষার্থী ও নেটিজেনরা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রাক্তন সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার সোশাল মিডিয়ায় এর বিরুদ্ধে সরব হন। তিনি লেখেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উন্নয়ননামা!! ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ভবন, স্থাপনার নাম পরিবর্তন করবেন এটা কাদের সাথে পরামর্শ করে করেছেন? শিক্ষার্থীদের মতামত দেওয়ার অধিকার ছিলো কিনা? আল্টিমেটলি যে সিদ্ধান্তগুলো নিল প্রশাসন, তারা কি স্বাভাবিক অবস্থায় মিটিংয়ে বসেছিলো? নাকি সুযোগে ৭১ এর ওপর দিয়ে ২৪-এর ন্যারেটিভ (বয়ান) দাঁড় করাতে চাইছে? ৭১ আমাদের ভিত্তি, ৭১ এর প্রতি এত বিদ্বেষ ভালো বার্তা দিচ্ছে না।’

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ