সুকুমার সরকার, ঢাকা: সোশাল মিডিয়ায় থেকে প্রেম। পরিবারের লোকজনের উপস্থিতিতে ঘটা করে বিয়ে। কিন্তু বিছানায় ঘনিষ্ঠ হতে আপত্তি ‘নববধূ’র। তাঁর দাবি, চিকিৎসক নাকি যৌনতায় নিষেধ করেছেন। দেড়মাস পরই ভাঙল ভুল। যুবক জানতে পারলেন ‘স্ত্রী’ আসলে পুরুষ। প্রতারণার শিকার হয়ে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই যুবক। ঢাকার রাজবাড়ি এলাকার গোয়ালন্দ উপজেলার ঘটনায় জোর শোরগোল।
প্রতারিত যুবক মাহমুদুল হাসান শান্ত। গত ৭ জুন সামিয়া শান্তর বাড়িতে চলে আসেন। পরিবারের সম্মতিতে শান্ত ও সামিয়ার বিয়ে হয়। ‘নববধূ’ হিসেবে শান্তর পরিবারের সঙ্গে ছিলেন সামিয়া। দেড়মাসেও কেউ বুঝতে পারেননি যে তিনি আসলে একজন পুরুষ। সম্প্রতি তাঁর কিছু আচরণ দেখে পরিবার ও শান্তর মনে সন্দেহ দানা বাঁধে। শান্তর দাবি, সামিয়া নাকি কাছে ঘেঁষতেই দিতেন না তাঁকে। বলতেন, “আমি অসুস্থ, ডাক্তার নিষেধ করেছেন।” শান্তর মা বলেন, “একজন পুরুষ আমাদের পরিবারের বউ অথচ আমরা কিছুই বুঝতে পারিনি। অভিনয় করে আমাদের মন জয় করে নিয়েছিল।”
ছদ্মবেশী ‘নববধূ’ সামিয়া অবশ্য নিজের ভুল স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁর প্রকৃত নাম মহম্মদ শাহিনুর রহমান। তিনি চট্টগ্রামের আমতলা বউবাজার এলাকার বাসিন্দা। সোশাল মিডিয়ায় ‘সামিয়া’ নামেই প্রোফাইল ছিল তাঁর। বলেন, “আমি স্বীকার করি, শান্তর সঙ্গে যা করেছি তা অন্যায়। কিন্তু আমার হরমোনজনিত সমস্যা রয়েছে। ছোটবেলা থেকেই আমি নিজেকে মেয়ে হিসেবে কল্পনা করি। মেয়েদের মতো পোশাক পরতে। সাজতে ভালো লাগে। তাই তরুণীর ছদ্মবেশে পুরুষদের সঙ্গে আলাপ করতাম।” প্রতারিত হওয়ার পর বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শান্ত। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে ‘নববধূ’কে তাঁর বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনা প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মহম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি নিয়ে এখন পর্যন্ত কেউ কোনও অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.