Advertisement
Advertisement

Breaking News

Bangladesh

অতীত থেকে শিক্ষা, দুর্গাপুজোয় হিংসা এড়াতে বুধ থেকেই কড়া নিরাপত্তা বাংলাদেশে

প্রতিমা ভাঙচুরে সিসিটিভির মাধ্যমে অপরাধীদের শনাক্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা।

Bangladesh to tighten security for durga puja
Published by: Anustup Roy Barman
  • Posted:September 21, 2025 8:53 pm
  • Updated:September 21, 2025 8:53 pm   

সুকুমার সরকার, ঢাকা: অতীত থেকে শিক্ষা। দুর্গাপুজোয়  হিংসা এড়াতে এবার আগেভাগে মাঠে নামল বাংলাদেশের ইউনুস প্রশাসন। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী জানিয়ে দিলেন, পুজোয় এবার কোনওরকম অশান্তি রুখতে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর থেকেই নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা রাস্তায় থাকবেন।

Advertisement

রবিবার দুর্গাপুজো উপলক্ষে প্রশাসনিক বৈঠক শেষে জাহাঙ্গির বলেন, ‘এবার মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ৮০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হচ্ছে। পুজো ধর্মীয় আচার, তাই সবারই দায়িত্ব থাকবে উৎসবকে ঘিরে সতর্কভাবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা।’ প্রতিমা ভাঙচুর প্রসঙ্গে জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী বলেন, ‘এবার এই ধরনের ঘটনার সংখ্যা অনেক কম। যেখানে প্রতিমা ভাঙচুর হয়েছে, সেখানে সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে অপরাধীদের শনাক্ত করা হচ্ছে।’

সরকারের পাশপাশি দুর্গাপুজো নিয়ে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে যে কোনও অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তারেক বলেন, “সামনেই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান দুর্গাপুজো। উৎসবের প্রাক্কালে আমি সনাতন ধর্মাবলম্বী সকল ভাই-বোনদের আমার আন্তরিক শুভকামনা জানাচ্ছি।” তিনি বলেন, বাংলাদেশে দুর্গাপুজো নির্বিঘ্নে উদযাপনের দৃষ্টান্ত রয়েছে। কিন্তু হাসিনার শাসনের সময়ের সুবিধাভোগীরা এই সময়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তারেক বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, দুর্গোৎসব নির্বিঘ্নে উদযাপনের জন্য সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।’

অন্যদিকে, দুর্গাপুজোয় দেশের পাঁচটি জেলাকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এবং ২৪টি জেলাকে মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে ‘সম্প্রীতি যাত্রা’ নামের একটি সামাজিক প্ল্যাটফর্ম। ২০১৪ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও প্রতিবেদনে প্রকাশিত হামলার ঘটনা বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চিহ্নিত এলাকার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে একটি কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার ঢাকায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই তথ্য জানায় সংস্থা। উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে ঢাকা, রংপুর, যশোর, চাঁদপুর ও নোয়াখালী। মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলো হলো গাজীপুর, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, পাবনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা, কুষ্টিয়া, সুনামগঞ্জ, বরিশাল, পটুয়াখালী এবং নেত্রকোনা।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ