Advertisement
Advertisement
বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক

সীমান্ত সুরক্ষায় জোর, আগামী সপ্তাহে ঢাকায় বিজিবি-বিএসএফ ডিজি পর্যায়ের বৈঠক

গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে রোহিঙ্গা সমস্যাকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা৷

BGB and BSF DG will meet next week at Dhaka on border security

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 9, 2019 4:19 pm
  • Updated:June 9, 2019 4:19 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরই প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করার কাজে মনোনিবেশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ জোর দিচ্ছেন সীমান্ত সুরক্ষাতেও৷ তার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে আগামী সপ্তাহে ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেলরা মুখোমুখি হচ্ছেন। দ্বিতীয় মোদি সরকারের আমলে এই প্রথম সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও বর্ডার গার্ড অফ বাংলাদেশের (বিজিবি) ডিরেক্টর জেনারেলরা বৈঠকে বসতে চলেছেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ২ বছরে পাঁচলাখ রোহিঙ্গা ফেরত নেবে মায়ানমার!]

এই বৈঠকে দু’দেশের সীমান্তপারের অপরাধ, চোরাচালান, জাল নোট পাচারের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ১৯৭৫ সাল থেকে দু’ দেশের মধ্যে ডিরেক্টর জেনারেল পর্যায়ের এই আলোচনা শুরু হয়েছে। চলতি মাসের ১১ থেকে ১৫ তারিখের মধ্যে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় এই বৈঠক হবে। ডিজি পর্যায়ের এটা ৪৮ তম বৈঠক। বিএসএফ প্রধান আর কে মিশ্র ১০ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল নিয়ে ১১ জুন ঢাকায় পৌঁছাবেন। এই প্রতিনিধি দলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিনিধি, মাদক পাচার দমনকারী বিভাগের সদস্য এবং ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের পদস্থ কর্মীরাও থাকবেন। ঢাকার পিলখানায় বিজিবি’র সদর দপ্তরে এই বৈঠক হবে।

সম্প্রতি সীমান্তে বিএসএফ সদস্যদের উপর বেশ কয়েকটি হামলা চালিয়েছে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা। পাশাপাশি বাড়ছে চোরাচালান, জাল টাকা ও মাদক পাচারের ঘটনা। এই সব বিষয়গুলি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশি প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব করবেন বিজিবির ডিজি মেজর জেনারেল সইফুল ইসলাম। এই প্রতিনিধি দলে থাকবেন ১৯ জন। বাংলাদেশের তরফে পশু ও মাদক পাচারের বিষয়ে বিশেষ জোর দেওয়া হবে। এই বৈঠকে রোহিঙ্গাদের বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে। মাঝেমধ্যেই তারা সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে চলে আসছে। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ কেন্দ্রের কাছে উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। রোহিঙ্গাদের ঠেকাতে সীমান্তে নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে।

[আরও পড়ুন: ‘অনেক খরচ’, অজুহাত দেখিয়ে ধর্ষণ মামলা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা পুলিশেরই!]

বিএসএফ ও বিজিবি-র সম্পর্ক বরাবরই বেশ ঘনিষ্ঠ। সীমান্তে কোনও সমস্যা হলে আলোচনার মাধ্যমেই তা মিটে যায়। দু’দেশই এই সম্পর্ক বজায় রাখতে আগ্রহী। তাই সীমান্তে যখনও বড় ধরনের কোনও সমস্যা দেখা যায় তখনই দুই বাহিনীর সদস্যরা নিজেদের মধ্যে তা মিটিয়ে নেন। শেষবার দু’দেশের মধ্যে ডিজি পর্যায়ের আলোচনা হয়েছিল নয়াদিল্লিতে৷

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement