ফাইল ছবি
সুকুমার সরকার, ঢাকা: জাতীয় সংসদ নির্বাচন হলে তাতে অংশ নেবেন বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বুধবার ফেনীতে এক মতবিনিময় সভায় এমনই দাবি করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু। ফেনীর একটি মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বিশ্বাস করতে চাই, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। দেশে এখন যে অবস্থা ফেব্রুয়ারির আগেই নির্বাচন হতে পারে। নির্বাচন হলে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া সুস্থ আছেন। ভোটে লড়বেন।”
আবদুল আউয়াল মিন্টু আরও বলেন, “দেশে যদি এক-দুই যুগ ধরে নির্বাচিত সরকার না থাকে, তবে মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হবে না। একটি দেশের সরকার যদি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ না থাকে তাহলে তারা কখনও ভালো কাজ করবে না।” আবদুল আউয়াল মিন্টুর দাবি, “গত ২০০৬ সাল থেকে আমরা ১৯ বছর ধরে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন লন্ডনে যোগাযোগ করেছেন। আমরা চাইছি দ্রুত নির্বাচন হোক।”
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে জুলাই-আগস্টে বাংলাদেশে গণ–অভ্যুত্থানের জেরে হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। সেই ঘটনার বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এবছর আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারে অন্তর্বর্তী সরকার। জানা গিয়েছে, জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে তা জানাতে পারেন প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস। সরকারি একাধিক সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। সেসব সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে অনুরোধ করবে অন্তর্বর্তী সরকার।
ইসির কাছে সরকারের তরফে থেকে এই সংক্রান্ত বার্তা আগস্টের প্রথম সপ্তাহেই পৌঁছনো হবে। অন্যদিকে ৫ আগস্টের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই সনদ ঘোষণা করার বিষয়টি এখন অনেকটাই নিশ্চিত। এরই মধ্যে জুলাই সনদের একটি খসড়া প্রস্তুত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় পর্বের আলোচনা খুব শীঘ্রই শেষ করবে কমিশন। এখন প্রশ্ন একটাই, নির্বাচন এগিয়ে আনা নিয়ে যে বিএনপি-সহ অন্যান্য বিরোধীরা বারবার দাবি তুলছে, সেই চাপে পড়ে দিনক্ষণ এগিয়ে আনবেন ইউনুস?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.