ফাইল ছবি
নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা: ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি কোনও সাংবিধানিক সংস্কার সমর্থন করবে না। তাদের যুক্তি, এ ধরনের পরিবর্তন হতে হবে সংসদে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলি রিয়াজকে দেওয়া এক চিঠিতে দলটি জানায়, কেবল সাংবিধানিক সংশোধন ছাড়া যেসব প্রস্তাব রয়েছে, সেগুলিই অন্তর্বর্তী সরকার অধ্যাদেশ, বিধি বা প্রশাসনিক আদেশের মাধ্যমে কার্যকর করতে পারে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগিরের স্বাক্ষর করা চিঠিতে বলা হয়, ”সাংবিধানিক সংস্কারের সব প্রস্তাব নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব নেওয়ার দুই বছরের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে।” সতর্ক করা হয়েছে, জুলাই সনদকে ‘সাংবিধানিক দলিল’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার চেষ্টা করা হলে তা ‘আইন ও সাংবিধানিকভাবে গ্রহণযোগ্য’ হবে না। চিঠিতে আরও জানানো হয়েছে, বর্তমান সংবিধানের অধীনে গঠিত কোনও সরকার যদি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে এখনকার ব্যবস্থা পালটে নতুন কিছু চাপিয়ে দেয়, তাহলে তা ‘বিপ্লব নয়, অভ্যুত্থান হিসেবে গণ্য হবে।’ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে যদি কোনও দল বা গোষ্ঠী ‘অসম্মানজনক পথে’ ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করে, তবে তা হবে জাতির জন্য ‘দুঃখজনক’।
চিঠিতে জোর দিয়ে বলা হয়, ‘একইসঙ্গে মনে রাখতে হবে, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ব্যাহত করার যে কোনও বিপজ্জনক চেষ্টা বাস্তবসম্মত নয়।’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের কথায়, ”সংবিধান কার্যকর থাকা অবস্থায় কোনও ব্যবস্থাই সেটা পরিবর্তন করতে পারে না। এ ধরনের কিছু করা হলে আদালতে আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে এবং সেটা টিকবে না।” গত ৫ জুন অন্তবর্তী প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মহম্মদ ইউনুস যে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন, তার উল্লেখ করে চিঠিতে বিএনপির দাবি, ইউনুস সনদটিকে ‘প্রতিশ্রুতি’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। কিন্তু জুলাই সনদে সই করে রাজনৈতিক দলগুলি জাতির প্রতি প্রতিশ্রুতি দেবে যে তারা এটি বাস্তবায়ন করবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.