ফাইল চিত্র।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিচারের নামে প্রহসন! এবার আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় চিন্ময় প্রভুর নামে চার্জশিট আদালতে জমা পড়ল। আদালত সেই চার্জশিট গ্রহণও করেছে। ইউনুস সরকারের আমলে দীর্ঘ সময় ধরে ইসকনের নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভু বাংলাদেশে জেলবন্দি রয়েছেন। তাঁর মুক্তির দাবিতে পদ্মাপাড়ে আন্দোলনও হয়েছিল। সেই আন্দোলনের সময় আইনজীবী খুন হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। চিন্ময় প্রভু জেলে থাকলেও ওই ঘটনায় তাঁর নাম অভিযুক্তদের তালিকায় রাখা হয়। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে বলেও বিভিন্ন মহলে অভিযোগ উঠেছে। চিন্ময় প্রভুকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতেও আন্দোলন হয়েছে। এপারেও তাঁর মুক্তির দাবি বিভিন্ন সময় বিক্ষোভ, আন্দোলন হয়েছে। ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে ওয়াকিবহাল মহলে।
সেই আবহে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও চট্টগ্রাম কোর্টের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় চিন্ময়কৃষ্ণ দাস-সহ ৩৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করল আদালত। আজ, সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আলাউদ্দিন ওই মামলার চার্জশিট গ্রহণ করেন। আগামী দিনে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হবে বলেও খবর। এদিন শুনানিতে নিহত আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মহম্মদ রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এদিনের শুনানিতে তিনি বলেন, “তদন্তে যুক্ত কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান রিপোর্টে সম্পৃক্ততা পাননি। অভিযুক্ত ৩ জনের সঠিক নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি। তদন্তে অভিযুক্ত সুকান্ত দত্ত সিএমপির অস্ত্র, মাদক, চুরি, ডাকাতি-সহ ৮টি মামলার আসামি। তদন্তের রিপোর্টেও তাঁকে কুখ্যাত দুষ্কৃতী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, ঘটনার সঙ্গে সুকান্ত দত্তের যোগ রয়েছে বলে তদন্ত রিপোর্টে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। ঘটনার পর মূল হত্যাকারীদের সঙ্গে তার ছবিও ভাইরাল হয়েছে। সুতরাং তাকে অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবেই অন্তর্ভুক্ত রাখার আবেদন জানানো হয়। আদালত ওই আবেদন গ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিন ঘিরে প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়েছিল বলে অভিযোগ। সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় সাইফুল ইসলামের বাবা জামালউদ্দিন ৩১ জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। এছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা দায়ের হয়। আদালতে শুরু হয় মামলা। আদালত সুকান্ত দত্ত-সহ ৩৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করে। পলাতক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যুর আদেশ দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১০ আগস্ট আদালতের তরফে শুনানির জন্য সমন জারি করা হয়েছিল। সেই আদেশ মতোই এদিন মৃতের বাবা আদালতে হাজির হন। এই মুহূর্তে ইসকন নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাস-সহ ২০ জন অভিযুক্ত জেলবন্দি আছেন। ১৯ জন অভিযুক্ত এখনও পলাতক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.