নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা: ছাত্রী হেনস্তা কাণ্ডে ধুন্ধুমার বাংলাদেশের চট্টগ্রামে। দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। জখম হয়েছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্যও। রবিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ ঘটেছে। এরপর ক্যাম্পাসের ২ নম্বর গেট সংলগ্ন জোবরা গ্রামে ফের দু’পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। ইটের আঘাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মহম্মদ কামালউদ্দিন-সহ অন্তত ৫০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার রাতে। জানা যাচ্ছে, সাড়ে ১১টার নাগাদ প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী হস্টেলে ফিরে দেখেন, গেট বন্ধ। ২ নম্বর গেট খোলার জন্য দারোয়ানকে বলেন ওই ছাত্রী। খুলতে রাজি হননি দারোয়ান। হস্টেলের আরও কয়েকজন ছাত্রী এসে দরজা খোলার জন্য জোর করলে দারোয়ানের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয় তাঁদের। অভিযোগ, ওই ছাত্রীর গায়ে হাত তোলেন দারোয়ান। ছাত্রীর অভিযোগ, ”আমি অনেকক্ষণ ধরে ডাকছিলাম গেট খোলার জন্য। কিন্তু দারোয়ান গেট খুলছিলেন না। একসময় যখন আমার রুমমেটরা দরজা খুলতে তাঁকে বাধ্য করলেন, তখন তিনি আমার উপর চড়াও হন। আমাকে মারধর করেন, আমার গায়ে হাত তোলেন।”
ঘটনা জানাজানি হলে শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে আসেন। দারোয়ানকে ধরতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা ধাওয়া করলে স্থানীয়রা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে ইট–পাটকেল মারতে শুরু করেন। পরে পরিস্থিতি সংঘর্ষের আকার নেয়। রাত ৩টে নাগাদ ক্যাম্পাসে সেনাবাহিনী প্রবেশ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ বলেন, ”আমাদের দু’জন সহকারী প্রক্টর-সহ নিরাপত্তা কর্মী এবং অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নিচ্ছি আমরা।”
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মহম্মদ কামাল উদ্দিন জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলার ঘটনায় অনেক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে অনেকের পরীক্ষাও ছিল রবিবার। তাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.