Advertisement
Advertisement
Bangladesh

সন্ত্রাসবাদী তকমা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের জেল, ইউনুসের ‘নতুন’ বাংলাদেশে ইতিহাস মোছার চেষ্টা!

মুক্তিযোদ্ধা আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কুরজুন এবং সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নাকেও জেলে পোরা হয়েছে।

court of Bangladesh imprisons 1971 war veterans, university professor on terrorism charge
Published by: Rakes Kanjilal
  • Posted:August 29, 2025 7:03 pm
  • Updated:August 29, 2025 7:24 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোন পথে যাচ্ছে বাংলাদেশে? সেই নিয়ে ফের উঠছে প্রশ্ন। এবার মুক্তিযোদ্ধাদের সন্ত্রাসবাদী তকমা দিয়ে জেলে পাঠাল ঢাকার আদালত। শুক্রবার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ১৬ জনকে হাজতবাসের নির্দেশ দেন বিচারক। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধা ছাড়াও রয়েছেন অধ্যাপকরাও।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকাতে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সভায় হামলা চালায় মৌলবাদীরা। তাপরপরই আক্রান্ত ১৬ জনকে ‘সুরক্ষা’-র জন্য আটক করে পুলিশ। তবে রাতে তাঁদের বিরুদ্ধে জঙ্গিদমন আইনের ধারায় মামলা রুজু করা হয়। অভিযোগ, হামলাকারীদের বাঁচিয়ে ওই সভার উদ্যোক্তা মুক্তিযোদ্ধাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই বিষয়ে আদালতকে দেওয়া নথিতে পুলিশ জানিয়েছে, আটক হওয়া ১৬ জনের মধ্যে অন্তত ছয়জন মুক্তিযোদ্ধা। পুলিশের অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, যথাযথ তদন্ত এখনও হয়নি, অভিযুক্তদের নাম ও ঠিকানাও যাচাই করা হয়নি, তাই অভিযুক্তদের হেফাজতে রাখা অবশ্যক। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রাক্তন মন্ত্রী তথা মুক্তিযোদ্ধা আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কুরজুন এবং সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্নাকেও জেলে পোরা হয়েছে।

উল্লেখ্য, নতুন গঠিত ‘মঞ্চ ৭১’ সংগঠনটি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি অডিটোরিয়ামে বৃহস্পতিবার একটি আলোচনার আয়োজন করে। কিন্তু অনুষ্ঠান শুরু হতেই একদল হামলাকারী অডিটরিয়ামে ঢুকে পড়ে। তারা নিজেদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ পরিচয় দেয়। অনুষ্ঠানের ব্যানার ছেঁড়ার পাশাপাশি কয়েকজনকে মারধর করা হয়।তারা আয়োজক ও অংশগ্রহণকারীদের শেখ হাসিনার ‘ফ্যাসিবাদী শাসনের দোসর’ বলে আখ্যা দেয়। অবসরপ্রাপ্ত সচিব ও মুক্তিযোদ্ধা আবু আলম শহিদ বলেন, সেখানে কোনও আওয়ামি লিগ নেতা ছিলেন না। উল্লেখ্য, লতিফ সিদ্দিকী ২০১৪ সালে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে আওয়ামি লিগ থেকে বহিষ্কৃত হন। উদ্যোক্তাদের তরফে অভিযোগ উঠছে, হামলাকারীদের পরিবর্তে বর্ষীয়ান মুক্তিযোদ্ধাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির জানিয়েছেন, “অনেক চেষ্টা চলছে মানুষকে ১৯৭১ ভুলিয়ে দেওয়ার। যারা সে সময় শত্রুপক্ষকে সাহায্য করেছিল তাঁরাই এখন উঁচু গলায় কথা বলছেন।” তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, “আমরা ১৯৭১-এ যুদ্ধ করেছি। আমরা ১৯৭১ ভুলিনি। এটা ভুলবার নয়।” মুক্তিযোদ্ধা-আইনজীবী ও ‘মঞ্চ ৭১’-এর অন্যতম সংগঠক জেড আই খান পান্না সোশাল মিডিয়া বার্তায় হামলাকারীদেরকে ‘দুষ্কৃতী’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেন, এই আক্রমণ দেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বাস্তব চিত্র তুলে ধরে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement