Advertisement
Advertisement
Bangladesh

এ কী হাল! দু’হাত পিছমোড়া করে পরানো হাতকড়া, এজলাসে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি

হাসিনা ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন প্রধান বিচারপতিকে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করা হয় তাঁর বাড়ি থেকে।

Ex chief justice of Bangladesh seen to be captured with handcuff behind,appeared to the court
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 25, 2025 2:13 pm
  • Updated:July 25, 2025 2:20 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদা যিনি বিচারপতির আসনে বসে হাইপ্রোফাইল মামলার বিচার করতেন, তাঁর এক কলমের আঁচড়েই কঠোরতম সাজা পেত দোষীরা, আজ তিনিই চরম অন্যায়ের স্বীকার! বিচারপতির আসন থেকে সোজা আসামির কাঠগড়ায় বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক। তাও আবার দুই হাত পিছমোড়া করে হাতকড়া পরানো অবস্থায় এজলাসে আসতে হল তাঁকে। এই দৃশ্য সে দেশের বহু মানুষের কাছেই বড়সড় ধাক্কা। ইউনুসের আমলে বদলের বাংলাদেশে বিচারের নামে এভাবেই প্রহসন চলছে বলে অভিযোগে সরব বিরোধীরা।

Advertisement

বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ছিলেন শেখ হাসিনার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। ২০১০ সাল থেকে তাঁকে একাধিকবার বড় পদে বহাল করেছিলেন হাসিনা। কিন্তু গত বছরের জুলাই-আগস্টে দেশজুড়ে ছাত্র আন্দোলন ও গণ অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয়। তারপর থেকে আত্মগোপন করেছিলেন খায়রুল হক। একাধিক মামলা ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। প্রায় একবছর পর বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে ঢাকার ধানমন্ডির বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর রাত আটটা নাগাদ ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিয়ে আসা হয়। তখনই তাঁকে দেখে সকল হতভম্ব হয়ে যান।

খায়রুল হকের চেহারা একেবারে শীর্ণকায়। পরনে সাদা শার্ট-কালো প্যান্ট, তার উপর পুলিশের নীল বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট। হাত দুটি পিছমোড়া করে তাতে হাতকড়া পরানো। দুই পুলিশকর্মী তাঁর বাহু ধরে একেবারে আসামির মতো নিয়ে এসেছে এজলাসে। কাঠগড়ায় মুখ নিচু করে দাঁড়িয়েছিলেন এবিএম খায়রুল হক। প্রায় ৪০ মিনিট ধরে চলে সওয়াল-জবাব। বলা হয়, হাসিনাকে স্বৈরতন্ত্রী করে তোলার নেপথ্যে এই খায়রুল হকের অবদান সবচেয়ে বেশি। শুনানির মাঝে একসময়ে এজলাস অন্ধকার হয়ে যায়। তখন মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে চলে বিচার প্রক্রিয়া। শেষে রাত ৯টা নাগাদ প্রাক্তন বিচারপতিকে নিয়ে যাওয়া হয় কেরানিগঞ্জের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement