Advertisement
Advertisement
Bangladesh

ফের চড়া বাজারদর, রাশ টানতে বাংলাদেশে চাল-কাঁচালঙ্কা রপ্তানি করল ভারত

ভারত থেকে আমদানি সত্ত্বেও চালের বাজারে দাম অনেকটাই চড়া বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

India exports rice and chillies to Bangladesh to control price rise

পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্তে আমদানি-রপ্তানি। নিজস্ব ছবি।

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 24, 2025 3:20 pm
  • Updated:August 24, 2025 3:24 pm   

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা: বাংলাদেশের বাজারে ফের চড়া মূল্যবৃদ্ধি। তা নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবার ভারত থেকে রপ্তানি করা হল চাল ও কাঁচালঙ্কা। সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের অনুমতি মেলার পর ভারত থেকে এই দুই নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী আমদানি করা হল বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে। এর আগে গত ১২ আগস্ট দেশের উত্তরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হলেও শুল্ক সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ব্যবসায়ীরা তা খালাস করতে পারেননি। ১৮ আগস্ট এনবিআর শুল্ক কমিয়ে ২ শতাংশ এআইটি নির্ধারণ করে এবং পণ্য খালাস শুরু হয়।

Advertisement

তবে উল্লেখযোগ্য এই যে ভারতের চাল বাংলাদেশের বাজারে আসার পরও দাম কমেনি। নাজিরশাইলে চালের দাম এখনও কেজি প্রতি ৮৫–৯০ টাকা, মিনিকিট চালের দাম ৮০ টাকা, আর ব্রি-২৮ ও ২৯ চাল কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতের চাল আরও বেশি পরিমাণে ঢুকলে দাম কমতে পারে। এদিকে চার মাস পর পেট্রাপোল-বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৩১৫ মেট্রিক টন মোটা চাল আমদানি হয়েছে। এক ব্যবসায়ীর কথায়, “বাজার স্থিতিশীল রাখতে বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির অনুমতি দিতে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে আবেদন আহ্বান করা হয়েছিল। আমাদের অনুমতিপত্র পাওয়ার পর ৯টি ট্রাকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। অনুমতিপ্রাপ্ত আরও ব্যবসায়ীরা পর্যায়ক্রমে এলসি খুলছেন, ফলে আগামী রবিবার থেকে আমদানির পরিমাণ বাড়বে।”

বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বলেন, “শুরুর প্রথম দিনে ৯ ট্রাকে ৩১৫ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। আরও অনেক চালবোঝাই ট্রাক বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।” ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, ভারতের চাল আমদানির ফলে দেশের বাজারে কেজিপ্রতি ৫–৭ টাকা পর্যন্ত দাম কমতে পারে। ভালো মানের চিকন জাতের চাল ৬৭–৭০ টাকার মধ্যে, মোটা স্বর্ণ জাতের চাল ৫০–৫২ টাকার মধ্যে বিক্রি হবে।

অপরদিকে, বাংলাদেশের বাজারে কাঁচালঙ্কার দাম স্বাভাবিক রাখতে দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে দিয়ে ভারত থেকে সেই সবজিও আমদানি করা হয়েছে। একদিনেই ২৯ ট্রাকে ২৩৯ টন কাঁচালঙ্কা আমদানি করা হয়েছে। যেখানে প্রতিদিন আমদানি হতো ৮ থেকে ১০ ট্রাক। এখন আমদানি হচ্ছে ১৫ থেকে ১৭ ট্রাক। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ২৯ ট্রাকে ২৩৯ টন কাঁচালঙ্কা আমদানি হয়েছে। শুল্কদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এক সপ্তাহে হিলি বন্দর দিয়ে ৬ দিনে ৭২টি ট্রাকে ৬১৮ টন কাঁচালঙ্কা আমদানি হয়েছে। আমদানিকারকদের আশা, দেশে বন্যা আর খরার কারণে লঙ্কা চাষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দেশের বাজারে দাম বেড়ে যায়। ফলে ভারত থেকে কাঁচালঙ্কা আমদানি বাড়িয়ে দিয়েছি। আশা করা হচ্ছে, কয়েকদিনের মধ্য কাঁচা মরিচের দাম কমে আসবে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ