সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ প্রায়শয়ই ভারতের উপর নির্ভরশীল। ভারত থেকে সাধারণ চাল আমদানি করে সে দেশ। এবার সেই চাল আমদানিতে নতুন শর্ত দিল ভারত। সেই শর্ত মেনে চাল আমদানি করতে গিয়ে কতটা প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের বাজারগুলিতে? এই প্রশ্ন উঠছেই। তবে ব্যবসায়ী মহলের মত, এতে আলাদা কোনও প্রভাব পড়বে না। আগের মতো নিশ্চিন্তে চাল আমদানি করতে পারবেন এবং আমদানির পরিমাণও কমবে না।
বাংলাদেশের খাদ্য অধিদপ্তরের সংগ্রহ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবর্ষে চাল আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ দশমিক ৫ লক্ষ টন। এর মধ্যে আতপ চাল আমদানি হবে ৯৭ হাজার মেট্রিক টন। বাকিটা সেদ্ধ চাল। বাসমতী জাতীয় দামি চাল কখনও ভারত থেকে আমদানি করে না বাংলাদেশ। সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে বাংলাদেশে চাল রপ্তানির জন্য নতুন শর্ত বেঁধে নেওয়া হয়েছে। তাতে জানানো হয়, বাসমতী ছাড়া অন্য চাল রপ্তানিতে কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রপ্তানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এপিইডিএ) রেজিস্ট্রেশন নেওয়া বাধ্যতামূলক। গত অর্থবর্ষে ভারত থেকে ৬ লক্ষ মেট্রিক টন চাল আমদানি করেছিল বাংলাদেশ। এবারও লক্ষ্যমাত্রা প্রায় একই।
কিন্তু ভারতের নতুন শর্তে চাল আমদানিতে কি বাংলাদেশের বাজারে কোনও প্রভাব পড়বে? তা জানতে চাইলে খাদ্য অধিদপ্তরের সংগ্রহ বিভাগের পরিচালক মহম্মদ মণিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘‘নতুন শর্ত অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশনে যে বিষয়, তাতে আমদানি বিঘ্নিত হবে না। আমরা যাদের কাছ থেকে চাল কিনি, তাঁরা এরই মধ্যে রেজিস্ট্রেশন নিয়ে নিয়েছে।’’ দেশের অন্যতম শীর্ষ চাল আমদানিকারীরাও জানিয়েছেন, ভারতের নতুন শর্তে তাঁরা চাল আমদানিতে কোনও অসুবিধার মুখোমুখি হচ্ছেন না। তাই চালের বাজারেও নতুন শর্তের কোনও প্রভাব পড়েনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.