Advertisement
Advertisement
আইএস জঙ্গি

ISIS জঙ্গি শামিমাকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব চাওয়ার নির্দেশ ব্রিটেনের আদালতের

এর জবাবে কী বলছে ঢাকা?

Shamima Begum loses appeal over citizenship removal

ফাইল ফটো

Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:February 8, 2020 2:17 pm
  • Updated:February 8, 2020 3:32 pm   

সুকুমার সরকার, ঢাকা: জেহাদের স্বপ্ন নিয়ে সিরিয়ায় গিয়ে ISIS-এ যোগ দিয়েছিল বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ তরুণী শামিমা বেগম। সেখানে ডাচ নাগরিক এক আইএস জঙ্গির প্রেমে পড়ে তাকে বিয়েও করে। পরে ওই দম্পতির তিনটি সন্তান হয়েছিল। কিন্তু, তারা মারা যায়। বর্তমানে ব্রিটেন তার নাগরিকত্ব কেড়ে নিতে চায়। এর বিরুদ্ধে করা মামলার প্রথম ধাপে হেরে গিয়েছে ২০ বছরের যুবতী শামিমা। গত জানুয়ারি মাসে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ শামিমার ব্রিটেনের নাগরিকত্ব বাতিল করেন। এর বিরুদ্ধে আবেদন করে শামিমা বেগমের আইনজীবী তাকে দেশে ফিরতে দেওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন।

Advertisement

সম্প্রতি এই আবেদনের শুনানি করে ব্রিটেনের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নির্দেশ দেয়. যেহেতু শামিমা বেগম রাষ্ট্রহীন অবস্থায় নেই। তাই তার নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া যাবে। তবে এর পাশাপাশি বিশেষ ‘ইমিগ্র্যান্ট অ্যাপিলস কমিশন’ জানায় যে শামিমা বেগম বাংলাদেশে নাগরিকত্ব চাইতে পারে। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, কোনও নাগরিক যদি পুরোপুরি রাষ্ট্রহীন হয়ে থাকে। তাহলে তার নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া অবৈধ। কমিশন বলছে, ২০ বছরের শামিমা বেগম বংশানুক্রমিকভাবে বাংলাদেশের নাগরিক এবং তিনি রাষ্ট্রহীন নন। শামিমা তার মায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার চেষ্টা করেছিল। যদিও ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, শামিমা বেগম বাংলাদেশের নাগরিক নয় এবং তাকে কোনওভাবেই বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছিলেন, ‘শামিমা বেগম যদি বাংলাদেশে হাজির হয়, তাহলে তার মৃত্যুদণ্ড হবে।’

[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বাড়ছে করোনা আতঙ্ক, সরকারের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ]

 

এপ্রসঙ্গে শামিমা বেগমের আইনজীবী ড্যানিয়েল ফারনার বলছেন, ‘তার মক্কেল অত্যাধিক জরুরি কারণে অতি দ্রুত এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদন করবে। কারণ, সে যেসব ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে বলে আশঙ্কা তা আরও বেড়ে গিয়েছে। বর্তমানে উত্তর সিরিয়ার ক্যাম্প রোজ নামের একটি শরণার্থী শিবিরে রয়েছে শামিমা।’ এই বিষয় নিয়ে অভিযোগ উঠলেও কমিশন বলছে, সাজিদ জাভিদ শামিমাকে ওখানে থাকতে বাধ্য করে মানবাধিকার লঙ্ঘন হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করেননি।

[আরও পড়ুন: ভ্যাটিকান সিটিতে হাসিনা, পোপের সঙ্গে করলেন কুশল বিনিময়  ]

 

ট্রাইব্যুনালের বিচারক ডোরন ব্লাম বলেন, ‘শামিমা বেগম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তের আগে স্বেচ্ছায় ব্রিটেন ত্যাগ করেনি। এই সিদ্ধান্তের কারণে যে সে এই দেশের বাইরে ছিল, এমনটা নয়। তাই তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধাচারণ করার কোনও মানে হয় না।’

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ