Advertisement
Advertisement
Bangladesh Election

বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন আটকাতে শর্তারোপ জামাত-এনসিপির! বাড়ছে আশঙ্কা

নির্বাচন ইস্যুতে সরব বিএনপির প্রতি সাধারণ মানুষের ব্যাপক সমর্থন রয়েছে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আওয়ামি লিগের অনুপস্থিতিতে তাদের সমর্থন আরও বেড়েছে।

Jamat and NCP try to put condition on Bangladesh election

ফাইল ছবি

Published by: Sulaya Singha
  • Posted:August 14, 2025 8:30 pm
  • Updated:August 14, 2025 8:30 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশের তিনবারের শাসকদল বিএনপি দ্রুত নির্বাচন চাইলেও বেঁকে বসেছে জামাতে ইসলামি এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তাদের দাবি, সংস্কার ছাড়া কোনও নির্বাচন হবে না। কয়েকদিন আগে অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে। ছাত্রদের নিজস্ব দল এনসিপিসহ জামাতে ইসলামি বিভিন্ন শর্ত দিয়ে আন্দোলনে নামার হুমকি দিচ্ছে।

Advertisement

সংস্কার প্রস্তাবের জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে শর্ত দিয়ে জামাত এবং এনসিপি এখন বিএনপির বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য বাড়ছে। বৃহস্পতিবার জামাত ও এনসিপির নেতারা দাবি করেছেন, সংস্কার এবং আওয়ামি লিগ নেতাদের বিচারের বিষয়টি এড়িয়ে ‘সাজানো’ নির্বাচন করার চেষ্টা হচ্ছে।

নির্বাচনের সময় নিয়ে বিএনপির সঙ্গে জামাত ও এনসিপির মতপার্থক্য ছিল শুরু থেকেই। বিএনপি দ্রুত নির্বাচন দাবি করলেও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন করার কথা বলেন। এক সময়ে বিএনপি এই বছরের ডিসেম্বরেই নির্বাচনের জন্য সরকারের উপর চাপ তৈরির চেষ্টা করে। ইউনুসের লন্ডন সফরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়। এতে অসন্তোষ প্রকাশ করে জামাত-এনসিপিসহ বিভিন্ন দল।

নির্বাচনের আগেই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের শর্ত তুলেছে তারা। জাতীয় সংসদের নির্বাচনের পদ্ধতির বদলে পিআর পদ্ধতি চালু করার দাবি করেছে জামাত। অন্তর্বর্তী সরকারে এনসিপির প্রভাব থাকলেও ভোটের রাজনীতিতে এখনো নিজেদের জায়গা তৈরি করতে পারেনি তারা। অন্যদিকে জামাতের সংগঠিত শক্তির বাইরে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক সমর্থন নেই বলে অনেকে মনে করেন। নির্বাচন ইস্যুতে সরব বিএনপির প্রতি সাধারণ মানুষের ব্যাপক সমর্থন রয়েছে। গত বছরের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আওয়ামি লিগের অনুপস্থিতিতে বিএনপির সমর্থন আরও বেড়েছে। ফলে ভোট হলে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে এমন আলোচনায় রয়েছে দেশের রাজনীতিতে।

এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু মনে করেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভেদের কারণে আগামী নির্বাচন সংঘাতপূর্ণ হতে পারে। জামাত-এনসিপি নির্বাচন বয়কট করলে তা বিএনপিকে বেকায়দায় ফেলবে। নির্বাচন কমিশন বলেছে, তারা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে। অন্যদিকে, বিএনপিও তাদের অবস্থানে অনড়। এটা নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ