Advertisement
Advertisement
Bangladesh

ইউনুূসের বাংলাদেশে বাড়ছে খুন-নৃশংসতা, অভিযোগের তির বিএনপির দিকেও

সংখ্যালঘু ব্যবসায়ী লালচাঁদ সোহাগের মৃত্যু ঘিরে ক্ষোভে ফুঁসছে বাংলাদেশ।

Locals of Bangladesh slam Muhammad Yunus govt over rising violence

ফাইল ছবি

Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:July 13, 2025 8:54 pm
  • Updated:July 14, 2025 10:36 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যবসায়ী লালচাঁদ সোহাগের মৃত্যু ঘিরে ক্ষোভে ফুঁসছে বাংলাদেশ। নৃশংসভাবে লালচাঁদের হত্যার প্রতিবাদে পথে নেমে বিক্ষোভ করেছেন পড়ুয়ারা। অপরাধ রুখতে একেবারে ব্যর্থ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, এমনটাই মত প্রতিবাদীদের। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, বাংলাদেশজুড়ে দুষ্কৃতীদের বাড়বাড়ন্তের নেপথ্যে দায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির অভাব।

Advertisement

গত বুধবার ব্যস্ত সড়কে আক্রান্ত হন লালচাঁদ। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তারপর ইট মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। থেঁতলে দেওয়া হয় শরীরের নানা অংশ। খুলে দেওয়া হয় পোশাক। এমনকী তাঁর শরীরের উপরে উঠে কোনও অভিযুক্ত লাফাতে থাকে বলেও অভিযোগ! এই পাশবিক নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। যা দেখে নিন্দার ঝড় বয়ে গিয়েছে। সূত্রের দাবি, লালচাঁদের খুনের নেপথ্যে রয়েছে চাঁদার জুলুম। একসময় লালচাঁদ বিএনপির যুবদলের সদস্য ছিলেন বলেই দাবি। কিন্তু তাঁর প্রাক্তন দলীয় সদস্যদের হাতেই তাঁকে খুন হতে হল বলে জানা গিয়েছে।

যদিও দোষীদের চিহ্নিত করে কড়া শাস্তি দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির। তবে লালচাঁদের হত্যায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ। চাঁদাবাজি, দখলদারি, হামলা ও খুনের প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার শাহবাগ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠে সেই মিছিল থেকে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে বিএনপি ও তার সহযোগী এবং সংগঠনগুলির অভ্যন্তরীণ সংঘাতে অন্তত ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বাংলাদেশের আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পরিসংখ্যান বলছে, গত বছরের আগস্ট থেকে গত মে মাস পর্যন্ত ১০ মাসে দেশের আট বিভাগে ১৭৪ জনকে বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু কেন অপরাধের এত বাড়বাড়ন্ত? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হকের মতে, হিংসা নিয়ন্ত্রণে সরকার কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারেনি। দুষ্কৃতীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া যায়নি। উলটে আইন কার্যকর করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছে বাহিনী নিজেও। অপরাধ করেও পার পেয়ে যাওয়া যায়-এই মানসিকতায় বেপরোয়া হয়ে উঠছে দুষ্কৃতীরা। 

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement