Advertisement
Advertisement
Sheikh Hasina

হাসিনার বিরুদ্ধে মামলায় শেষ সাক্ষ্য দিলেন এনসিপি নেতা নাহিদ, খুব শিগগির রায়

গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা এবং অন্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল।

NCP leader Nahid Islam gives final testimony in case against Sheikh Hasina
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:September 16, 2025 9:44 pm
  • Updated:September 16, 2025 9:51 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২৪ সালে জুলাই অভ্যুত্থানের সময় ‘মানবতাবিরোধী অপরাধে’ অভিযুক্ত করা হয়েছে দেশছাড়া প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। ওই মামলায় হাসিনা-সহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে ‘সব শেষ সাক্ষী’ হিসেবে সাক্ষ্য দিচ্ছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১টা ৪০ মিনিটে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী হিসেবে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল-সহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যান এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

Advertisement

ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের নাহিদ ইসলাম বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনার মামলায় হয়তো আমিই শেষ সাক্ষী। আমার সাক্ষ্য নেওয়ার পরই রায়ের দিকে যাবে। ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ নিয়ে এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, এখন পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। তবে বাকি সব মামলাও যেন যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে এগিয়ে চলে। নির্বাচনের আগে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিলে সমন্বিত রোডম্যাপ ঘোষণা করুক সরকার। একইসঙ্গে সব রাজনৈতিক দলের কাছে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, যেন তাদের ইশতেহারে নির্বাচনের পরও জুলাই গণহত্যার বিচার চলমান রাখার কথা উল্লেখ রাখে।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১-এ প্রথম দিনের মতো জবানবন্দি দেন মামহমুদুর রহমান। আজ মঙ্গলবার তিনি অবশিষ্ট জবানবন্দি দেন। এর পর জেরা শুরু করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। গত বুধবার ১৫তম দিনে মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার কথা ছিল মাহমুদুর রহমান ও এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের। কিন্তু ব্যক্তিগত অসুবিধার কারণে তাঁরা সেদিন উপস্থিত থাকতে পারেননি বলে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। এর আগে, মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ১৪তম দিনে ছয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপক্ষের ৪৫তম সাক্ষী হিসেবে সিআইডি ঢাকার ডিজিটাল ফরেনসিক ল্যাবে কর্মরত সাব ইন্সপেক্টর মহম্মদ শাহেদ জোবায়ের লরেন্স তাঁর জবানবন্দি পেশ করেন।

সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ১৩তম দিনে তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। তারও আগে গত ২ সেপ্টেম্বর ৩৬ নম্বর সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন এই মামলার আসামি থেকে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তার জেরা শেষ হয় ৪ সেপ্টেম্বর। সাক্ষীদের জবানবন্দিতে গত বছরের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দেশজুড়ে হত্যাযজ্ঞ চালানোর বীভৎস বর্ণনা উঠে এসেছে। আর এসবের জন্য দায়ী করে শেখ হাসিনা, কামাল-সহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন শহিদ পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীরা।

গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এই মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। অভিযোগপত্র মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দ তালিকা ও প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার এবং শহিদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার। সাক্ষী হিসেবে রয়েছেন ৮১ জন। গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনাল।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement