Advertisement
Advertisement
Bangladesh

ইতিহাস নিয়ে চূড়ান্ত প্রহসন! বাংলাদেশের স্কুলে পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হচ্ছে ‘গণহত্যাকারী’ হাসিনার নাম

২০২৬ সাল থেকে শিক্ষাবর্ষে নতুন সংযোজন হতে চলেছে, যা নিয়ে এখন থেকেই শুরু সমালোচনা।

Sheikh Hasina tagged as 'mass killer' and included in school syllabus in Bangladesh

ফাইল ছবি

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 21, 2025 6:15 pm
  • Updated:August 21, 2025 6:19 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইতিহাস নিয়ে চূড়ান্ত প্রহসন বাংলাদেশে! চব্বিশে ক্ষমতা বদলের পর থেকেই সে দেশে ইতিহাস পরিবর্তনের হিড়িক চলছিল। এবার তাতেই নয়া সংযোজন। যে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ, সেই মুজিবের কন্যাকেই ‘গণহত্যাকারী’ হিসেবে চিহ্নিত করে এবার পাঠ্যবইয়ে সংযোজন করতে চলেছে ইউনুস সরকার। জানা গিয়েছে, আগামী ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশের মাধ্যমিকের বিভিন্ন শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে গুরুত্ব দিয়ে স্থান পাচ্ছে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ইতিহাস। এতে ‘গণহত্যাকারী’ হিসেবে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে।

Advertisement

জানা গিয়েছে, একইসঙ্গে পাঠ্যবইয়ে যুক্ত হচ্ছে গত চারটি বিতর্কিত সংসদ নির্বাচনের ইতিবৃত্ত। উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পৌরনীতি ও সুশাসন বইয়ের দ্বিতীয় পত্রে ২০০৮ সালের সেনাসমর্থিত নির্বাচন, ২০১৪ সালের ভোটের আগেই ১৫৪ আসনে বিজয়ী প্রার্থীদের বিনা ভোটের নির্বাচন, ২০১৮ সালের দিনের ভোট রাতেই বাক্সভর্তি করা এবং ২০২৪ সালের সারাদেশে ডামি নির্বাচনের ইতিবৃত্ত পাণ্ডুলিপিতে যুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

এছাড়া শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণও সংক্ষিপ্ত আকারে পাঠ্যবইয়ে থাকছে। এই ভাষণ বাদ দেওয়ার প্রস্তাব থাকলেও তা নাকচ করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটি (এনসিসি)। পূর্ণাঙ্গ নয়, সংক্ষেপে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের বইয়ে অন্তর্ভুক্ত হবে ভাষণটি। গত সোমবার রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) দপ্তরে ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যবই অনুমোদন সংক্রান্ত এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে প্রথমে অষ্টম ও দ্বাদশ শ্রেণির বই থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ সরানোর প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত আলোচনার মাধ্যমে সংক্ষেপে ভাষণটি রাখার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে।

এ ব্যাপারে এনসিটিবির চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী জানান, অষ্টম শ্রেণির বইয়ে আগেও ‘বঙ্গবন্ধু’র ভাষণ ছিল। এবারও তা থাকবে, তবে সংক্ষিপ্ত আকারে। একাদশ শ্রেণির ক্ষেত্রেও একই নীতি প্রযোজ্য হবে। একই বৈঠকে নবম-দশম শ্রেণির বাংলা বইয়ে ‘রহমানের মা’ গল্প ও ‘স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতা’ নাটক বাদ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয় ধর্মীয় অনুভূতি ও অশ্রাব্য ভাষার কারণে। এছাড়া জুলাই আন্দোলন নিয়ে লেখা ‘আমাদের নতুন গৌরব গাথা’ প্রবন্ধে বিকৃতি ও শেখ হাসিনার নাম গোপন করার অভিযোগ ওঠায় প্রবন্ধটি সংশোধনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। উচ্চমাধ্যমিকের ইতিহাস, বাংলা দ্বিতীয় পত্র ও পৌরনীতি বইয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার প্রসঙ্গ-সহ বিতর্কিত নির্বাচনগুলোর প্রকৃত চিত্র সংযোজনের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। 

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ