Advertisement
Advertisement
Bangladesh

ফের মুজিব মুছে ফেলার ডাক, বাহাত্তরের সংবিধানের ৪ মূলনীতি বাতিলের দাবি বৈষম্য়বিরোধী ছাত্রদের

কিছু রাজনৈতিক দল এই চার মূলনীতি বাদ দেওয়ার ব্যাপারে একমত হয়নি।

student leaders demand change in Mujib constitution of Bangladesh
Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:June 23, 2025 6:52 pm
  • Updated:June 23, 2025 6:54 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের বাংলাদেশে মুজিব মুছে ফেলার ডাক বৈষম্য়বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের। তাঁদের গড়া নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক জাবেদ রাসিন এবার দাবি তুললেন, বঙ্গবন্ধুর বাহাত্তরের সংবিধানের ৪ মূলনীতি বাতিল করতে হবে। তাঁদের পক্ষে মুজিবাদী মূলনীতি মেনে চলা সম্ভব নয়। এর আগে এই নেতারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমলের সংবিধান সম্পূর্ণ বাতিল করার দাবি জানান। তবে তখন এই দাবিতে খুব একটা কর্ণপাত করেনি মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার।

গতকাল রবিবার রাজধানী ঢাকায় ফরেন সার্ভিস অ্য়াকাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক হয়। আলোচনা শেষে রাসিন বলেন, “আমাদের পক্ষ থেকে আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছি, বাহাত্তরের মুজিববাদী মূলনীতি আমরা রাখার পক্ষে না। এ মূলনীতি বাদ দিতে হবে। সংবিধান সংস্কার কমিশনের একটা প্রস্তাব ছিল। সংবিধানে সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক সুবিচারের সঙ্গে গণতন্ত্রকে যুক্ত করে এই চারটি অন্তর্ভুক্ত থাকবে মূলনীতি হিসেবে। বৈঠকে আলোচনার সময় এটা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটা মতানৈক্য দেখা গেল।”

কিছু রাজনৈতিক দল তাদের আদর্শের জায়গা থেকে এই চার মূলনীতি বাদ দেওয়ার ব্যাপারে একমত হতে পারেননি বলেও জানান রাসিন। তিনি বলেন, “আমরা সে ক্ষেত্রে বলেছি, আমাদের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার যে অভ্যুত্থানের স্পিরিট ছিল সেই স্পিরিটের বিপরীতে গিয়ে এখানে আলোচনার কোনও মানে হয় না। সুতরাং বাহাত্তরের চার মূলনীতি বাদ দিয়ে তার পরবর্তী বাকি মূলনীতিগুলো সংযোজন করতে হবে।” তবে এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনও ঐকমত্য হয়নি।

এনিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা বলেন, “বর্তমান যে ব্যবস্থা আছে, সেখানে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ সীমিত করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। এ ছাড়া একজন ব্যক্তি কত সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন, সে বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একজন ব্যক্তির সর্বোচ্চ দু’বার (দশ বছর) শপথ নিতে পারবেন, এই জায়গায় সীমা নির্ধারণ করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ঐকমত্যের স্বার্থে সবাই সর্বোচ্চ ১০ বছর বলে। সময় নির্ধারণের সবার সঙ্গে আমাদের মতামত নমনীয় থাকবে।” জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেয় বিএনপি, জামাতে ইসলামি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), ইসলামি আন্দোলন, গণ অধিকার পরিষদ, গণসংহতি-সহ ৩০টি রাজনৈতিক দল। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলি রীয়াজ, সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান, মহম্মদ আইয়ুব মিয়া।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement