Advertisement
Advertisement
Bangladesh

দেশের নাম বদলাতে পারে না অন্তর্বর্তী সরকার, এবার ইউনুসকে তোপ ওয়ার্কার্স পার্টির

ইউনুসের কাছে বাংলাদেশের নাম পরিবর্তনের সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন।

Workers Party attacks Muhammad Yunus for the name change of Bangladesh

ফাইল ছবি

Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:January 17, 2025 9:18 pm
  • Updated:January 17, 2025 9:18 pm   

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঢাকা: ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশ সংস্কারের নামে বেশ কিছু পরিবর্তন করেছে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার। বদল আনা হচ্ছে সংবিধানেও! কয়েকদিন আগেই প্রধান উপদেষ্টা ইউনুসের কাছ সুপারিশ জমা দেয় সংবিধান সংস্কার কমিটি। সেখানেই বাংলাদেশের নাম পরিবর্তনের কথাও বলা হয়েছে। আর এই প্রস্তাবেরই কড়া বিরোধিতা করেছে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, দেশের নাম পরিবর্তনের অধিকার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। 

Advertisement

গত ১৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা ইউনুসের হাতে নতুন খসড়া তৈরি তুলে দেয় সংবিধান সংস্কার কমিশন। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ শব্দটিকে বাদ হয় নয়া সুপারিশে। পাশাপাশি ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ পরিবর্তন করে ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ আর প্রজাতন্ত্রের পরিবর্তে ‘নাগরিকতন্ত্র’ করারও প্রস্তাব দেওয়া হয়। আজ শুক্রবার এনিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ওয়ার্কার্স পার্টি। এক বিবৃতি দিয়ে তারা বলে, ‘সংস্কার কমিটির ওই প্রস্তাব মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহিদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার শামিল। কোনওভাবেই অন্তর্বর্তী সরকারের সংবিধানে মৌলনীতিকে বদলানোর নৈতিক অধিকার নেই। বাংলাদেশের জনগণ একটি দীর্ঘ গণতান্ত্রিক সংগ্রামের পথ বেয়ে ব্রিটিশ শাসন ও পাকিস্তানের সঙ্গে লড়াই করে একটি জাতির জাতীয়তার আত্মপরিচয় খুঁজে পেয়েছে। শ্রমজীবী পরিশ্রমী মানুষরা জাতীয় মুক্তির লড়াইয়ে শামিল হয়েছিল সমাজতন্ত্রের অভিপ্রায় নিয়েই। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়েই দেশ গঠন হয়েছে। এর কোনও রূপ পরিবর্তন হলে জাতির সব লড়াই অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে। যা কোনওভাবেই কাম্য নয়। রাষ্ট্র ও জনগণের স্বার্থে কোনও সংস্কার প্রয়োজন হলে একটি রাজনৈতিক নির্বাচিত সরকার সব রাজনৈতিক পক্ষকে নিয়েই করবে। এটাই হচ্ছে সর্বোত্তম গণতান্ত্রিক পন্থা।’

উল্লেখ্য, রাষ্ট্র পরিচালনার চার মূলনীতির মধ্যে তিনটি বাদ দেওয়ার সুপারিশ করেছে অধ্যাপক আলি রিয়াজের নেতৃত্বাধীন সংবিধান সংস্কার কমিশন। সেই সঙ্গে গণতন্ত্র বহাল রেখে রাষ্ট্র পরিচালনার নতুন আরও চারটি মূলনীতির সুপারিশ করেছে তারা। জানা যায়, বর্তমানের চার মূলনীতির মধ্যে শুধু গণতন্ত্র রাখা হয়েছে প্রস্তাবিত নতুন পাঁচ মূলনীতির মধ্যে। সেগুলো হল সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, বহুত্ববাদ ও গণতন্ত্র। কিন্তু উল্লেখ নেই ধর্মনিরপেক্ষতার। গত কয়েক মাস ধরে হিন্দু নির্যাতন লাগামছাড়া হারে বেড়েছে। উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত, ব্রিটেন, আমেরিকার মতো একাধিক দেশ। এই পরিস্থিতিতে সংবিধান থেকে বাদ ধর্মনিরপেক্ষ শব্দ বাদ দেওয়া নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়। এর মাঝেই দেশের নাম বদল নিয়ে ইউনুসকে তোপ দাগল ওয়ার্কার্স পার্টি।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ