Advertisement
Advertisement
Bangladesh

ছাত্র লিগের পর এবার আওয়ামি লিগ, হাসিনার দলকে নিষিদ্ধের দাবিতে পদক্ষেপ হাই কোর্টে!

হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকে বাংলাদেশে অত্যাচারের শিকার আওয়ামি লিগের নেত-কর্মীরা।

Writ seeking ban on political activities of Awami League in Bangladesh
Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:October 28, 2024 7:09 pm
  • Updated:October 28, 2024 7:12 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশে আরও বিপাকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লিগ। কয়েকদিন আগেই তাদের শাখা সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এবার নিষেধাজ্ঞার কোপ পড়তে পারে আওয়ামি লিগের ঘাড়েও! দেশের প্রাক্তন শাসকদলের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবিতে এবার হাই কোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে। 

Advertisement

গত ৫ আগস্ট গণবিক্ষোভে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। তাঁর দেশ ছাড়ার পর থেকে আওয়ামি লিগের নেত-কর্মীরা হামলা ও অত্যাচারের শিকার হন। শুধুমাত্র হাসিনাপন্থী হওয়ার কারণে বেশ কয়েকজনকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে। ফলে বাংলাদেশে কার্যত কোণঠাসা হয়ে গিয়েছে হাসিনার দল। এর মাঝেই গত ২৩ অক্টোবর ছাত্র লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

এর পর আজ সোমবার হাই কোর্টে সংশ্লিষ্ট শাখায় আওয়ামি লিগ নিয়ে রিট করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলম-সহ ৩ জন। বাংলাদেশ আওয়ামি লিগ ছাড়াও জাতীয় পার্টি (এরশাদ), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, তরিকত ফেডারেশন, কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ, এলডিপি-সহ ১১টি দলকে কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর অনুমতি না দিতে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ চেয়ে রিট করা হয়। এনিয়ে আইনসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছেও আর্জি জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংস্কারের দাবি ছাত্র আন্দোলনে উত্তাল হয় বাংলাদেশ। গত জুলাই মাসে এই আন্দোলন হিংসাত্মক আকার ধারণ করে। ঝরে বহু রক্ত। বিক্ষোভ-প্রতিবাদ চলাকালে ছাত্র লিগের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর অভিযোগ তুলেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা। তাই আওয়ামি লিগের ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে ইউনুস সরকারকে সময়সীমা বেঁধে দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং জাতীয় নাগরিক কমিটি। সেই মতোই ছাত্র লিগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। পাশাপাশি বাংলাদেশের এই নয়া সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছে, কোনও নিষিদ্ধ সংগঠনের কর্মীরা সরকারি চাকরি পাবেন না। এর ফলে ছাত্র লিগের সদস্যরাও এবার থেকে আর সরকারি চাকরিতে আবেদন করার সুযোগ পাবেন না।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement