এসএসবি জওয়ানদের হাতে ধৃত দুই অনুপ্রবেশকারী। নিজস্ব চিত্র
অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: উত্তরবঙ্গের ভারত-নেপাল সীমান্তে পানিট্যাঙ্কিতে গ্রেপ্তার দুই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী। এসএসবি-র জওয়ানরা তাঁদের পাকড়াও করেছেন। নেপাল হয়ে বিদেশ যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল দুই বাংলাদেশি যুবকের। এদিকে নেপালে দালালরা তাঁদের সঙ্গে থাকা টাকা ও পাসপোর্ট নিয়ে পালিয়ে যায় অভিযোগ। দালালদের মাধ্যমে ভারত দিয়ে ফের বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এদেশে অনুপ্রবেশ করার পরই তাঁরা পাকড়াও হন বলে খবর।
ধৃত দুই যুবকের নাম মহম্মদ নূর হোসেন খন্দকর ও মহম্মদ ওমর ফারুক আরমান। নূর হোসেনের বাড়ি বাংলাদেশের ফেনী জেলায়। আর ওমর ফারুকের বাড়ি মাদারীপুর সদর উপজেলার কালিমারা এলাকায় বাসিন্দা। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫টি মোবাইল ফোন, নেপাল ও বাংলাদেশের ২টি সিম কার্ড, কিছু নেপালি মুদ্রা। এছাড়াও মিলেছে একটি বাংলাদেশি প্রতিবন্ধী পরিচয়পত্র ও বাংলাদেশের পরিচয়পত্র।
গতকাল শনিবার রাতে সীমান্ত এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন এসএসবি-র ৪১ নম্বর ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা। সেসময় সীমান্ত দিয়ে দু’জনকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে দেখা যায়। জওয়ানরা তাঁদের পাকড়াও করেন। এসএসবি-র জওয়ানরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাঁদের। জানা যায়, নূর হোসেন খন্দকরের রোমানিয়ায় যাওয়ার উদ্দেশ্য ছিল। এক বাংলাদেশি দালালের মাধ্যমে প্রথমে সিলেট-ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। পরে নেপালে যান। নেপালের এক দালাল তাঁর থেকে ১২ লক্ষ টাকা নেয় বলে অভিযোগ। কিছুদিন পর তাঁর পাসপোর্ট ও টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
অন্যদিকে, ওমর ফারুক আরমান চলতি বছরের জানুয়ারিতে দালালের মাধ্যমে নেপালের কাঠমাণ্ডু পৌঁছন। ফ্রান্স পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর থেকে এক দালাল ২০ লক্ষ টাকা নিয়েছিল বলে অভিযোগ। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও তিনি ফ্রান্স যেতে পারেননি! ওই দালাল পাসপোর্ট, টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায় বলে অভিযোগ। এরপর নেপালে নূর হোসেন ও ফারুকের আলাপ হয়। অন্য এক দালালের মাধ্যমে ভারতে অনুপ্রবেশ করে বাংলাদেশ যাওয়ার পরিকল্পনা হয়েছিল বলে ধৃতদের দাবি। সেই মতো গতকাল তাঁরা নেপাল থেকে সীমান্ত পেরিয়ে শিলিগুড়ির পানিট্যাঙ্কিতে ঢুকেছিলেন। তখনই জওয়ানরা তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
ধৃতদের খড়িবাড়ি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় এসএসবি। ধৃতরা কতটা সত্য বলছেন? এদেশে অনুপ্রবেশে তাঁদের অন্য কোনও উদ্দেশ্য আছে কি? সেসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আজ, রবিবার ধৃতদের শিলিগুড়ি আদালতে তোলা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.