Advertisement
Advertisement
Ranaghat

বাংলাদেশি সন্দেহে মহারাষ্ট্রে ৬ মাস ‘বন্দি’ রানাঘাটের ২ পরিযায়ী মতুয়া যুবক! মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ পরিবার

বিষয়টি সামনে এনে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলামের।

2 Matua youth from Ranaghat detain by Maharashtra police

ছেলেদের ফেরানো হোক। কাতর আর্জি মায়ের।

Published by: Subhankar Patra
  • Posted:July 19, 2025 10:13 am
  • Updated:July 19, 2025 1:50 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ভিন রাজ্যে হেনস্তার শিকার বাংলার দুই মতুয়া যুবক! বাংলাদেশি সন্দেহে মহারাষ্ট্রে ‘বন্দি’ রানাঘাটের যুবকরা। অভিযোগ, সমস্ত নথিপত্র থাকার পরও তাঁদের আটকে রেখেছে মহারাষ্ট্র পুলিশ। যুবকদের ঘরে ফেরাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাহায্য চেয়েছে বিজেপি সমর্থিত পরিবার।

Advertisement

রানাঘাট মহকুমার রায়নগরের বাসিন্দা নিশিকান্ত বিশ্বাস। তাঁর দুই ছেলে মণিশংকর বিশ্বাস ও নয়ন বিশ্বাস মহারাষ্ট্রে কাজে যান। অভিযোগ, বিগত ছয়মাস ধরে তাঁদের আটকে রেখেছে বিজেপি শাসিত রাজ্যের মহারাষ্ট্র পুলিশ।

পরিবারের অভিযোগ, যুবকদের কাছে সব নথিপথ-আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও মতুয়াদের আলাদা পরিচয় মতুয়া কার্ড (যদিও এই কার্ড কোনও সরকারি পরিচয় নথি নয়) থাকার পরও, পুলিশ তাঁদের আটক করে রেখেছে বলে দাবি পরিবারের।

যুবকদের এক আত্মীয় বলেন, “মহারাষ্ট্রে কাজে গিয়ে আমাদের দুই ছেলে আটকে পড়েছে। মহারাষ্ট্র পুলিশ তাঁদের আটকে রেখেছে। ওঁদের মায়ের অবস্থা খুব খারাপ। কিছুদিন আগে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন। গ্রামবাসীদের সাহায্যে চিকিৎসা ও সংসার চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ ছেলেদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করুন।” তিনি আরও জানিয়েছেন, আমরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছি। সেই বিজেপির রাজ্যে আমাদের ছেলে দু’টো আটকে। যুবকদের বাবা নিশিকান্ত বিশ্বাস বলেন, “আমার কিছুই বুঝি না। ছেলেদের ফিরিয়ে দেওয়া হোক।” তারা আরও জানিয়েছে, মাস কয়েক আগে মহারাষ্ট্র পুলিশ রানাঘাটে এসে তাঁদের কিছু পরিচয়পত্র সংক্রান্ত নথি নিয়ে যায়, কিন্তু কেন তা নিয়েছে তা স্পষ্ট করে জানায়নি।

এই পুরো বিষয়টি সামনে এনে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল ইসলাম। তিনি সামাজিক মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ট্যাগ করে লিখেছেন, ‘এই মতুয়া যুবকদের কাছে সমস্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র রয়েছে। রয়েছে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের একটি বিশেষ পরিচয়পত্র। যা আপনার দলের সাংসদ শান্তনু ঠাকুর দিয়েছেন। সেই কার্ডও যুবকদের মহারাষ্ট্রের বিজেপি সরকারের বাঙালি বিরোধী রোষ থেকে রক্ষা করতে পারেনি। তাঁদের বেআইনিভাবে আটকে রাখা হয়েছে।’

তিনি  আরও লেখেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই আমরা অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থন করছি না। আমাদের লড়াই বাংলাভাষী ভারতীয় নাগরিকদের জন্য যাদের অধিকার ভূলন্ঠিত করা হচ্ছে।’ পোস্টে সামিরুল ইসলাম আরও চারটি প্রশ্ন তুলেছেন। রানাঘাটের ওই অসহায় পরিবারের কাতর আর্জি ছেলে দ্রুত ফিরিয়ে আনা হোক।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ