দুশ্চিন্তায় পরিবারের সদস্যরা। নিজস্ব চিত্র
বিক্রম রায়, কোচবিহার: দিন কয়েক ধরে বিদ্রোহের জেরে উত্তপ্ত পার্শ্ববর্তী দেশ নেপাল। আর সেখানেই শ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে আটকে পড়েছেন তুফানগঞ্জের অন্তত ২৫ জন শ্রমিক। সেই শ্রমিকদের বাড়ি ফিরে আসা দূরের কথা, তাঁরা যেখানে আশ্রয় নিয়েছেন, সেখান থেকেও বের হওয়ার অনুমতি নেই এই মুহূর্তে। স্বাভাবিকভাবে ব্যাপক সমস্যার মুখে পড়েছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে ভিডিওবার্তা দিয়ে নিজেদের উদ্ধারের আর্জি জানিয়েছেন ওই শ্রমিকরা।
এদিকে তাঁদের এই বার্তা পেয়ে রাতের ঘুম উড়েছে ওই শ্রমিক পরিবারদের। তুফানগঞ্জের নাটাবাড়ি এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পরিযায়ী শ্রমিকরা মূলত দলবদ্ধ হয়ে সেখানে কাজে গিয়েছেন। তবে তাঁরা যেখানে আটকে রয়েছেন সেখানে নেই পর্যাপ্ত খাবার। ফলে সময় যত গড়াচ্ছে ততই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় বাড়ছে পরিবারে। উদ্বিগ্ন সেই শ্রমিক পরিবারগুলির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নাটাবাড়ি এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের হাপালমারা, বস পাড়া গ্রামের প্রায় ২৫ জন যুবক কাজ করেন নেপালে। পেটের টানে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে বহু বছর ধরে নেপালে পাড়ি দেন ওই এলাকার যুবকরা। এবছর পুজোয় বাড়ি ফেরার কথা ছিল। তার আগেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নেপাল। একেবারে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় প্রতিবেশী দেশে। ফলে সেখানেই আটকে পড়েছেন ওই পরিযায়ী শ্রমিকরা। স্থানীয় যুবকরা তাদের কারখানার ভেতর ঢুকে মারধর করছে বলেও অভিযোগ। এই মুহূর্তে কাজ বন্ধ রয়েছে। তারা বাইরে বেরোতে পারছেন না।
নেপালের পরিস্থিতি শোনার পরেই উদ্বেগ ছড়িয়েছিল তুফানগঞ্জের পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারগুলির সদস্যদের মধ্যে। পরে নেপালের পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। নেপালে ক্ষমতার বদল হয়েছে। কিন্তু এখনও পরিস্থিতি পড়শি দেশে উত্তপ্ত পরিস্থিতি। পরিবারের সদস্যরা আটকে থাকায় দুশ্চিন্তা ক্রমে বাড়ছে পরিবারের সদস্যরা। সুস্থ শরীরে তাঁরা বাড়ি ফিরে আসুক। প্রশাসন তাঁদের ফিরিয়ে আনার জন্য পদক্ষেপ করুক। সেই দাবিই করছেন নেপালে আটকে থাকা শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যরা। তুফানগঞ্জের মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যদি কেউ আটকে থাকেন, তাহলে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.