গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: অঞ্জনা গোস্বামী, পূর্ণিমা হালদার, জ্যোৎস্না ঘোষ-সহ আরও অনেকে। তাঁদের কেউ মারা গিয়েছেন দুই বছর, কেউ ছয় বছর আবার কেউ একবছর আগে। তাদের পরিবারের সদস্যরা ডেথ সার্টিফিকেটও পেয়েছেন। কিন্তু তারপরেও ভোটার লিস্টে তাদের নাম জ্বলজ্বল করছে। সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। প্রাথমিভাবে ২৬ জনের নাম পাওয়া গিয়েছে। তাই নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার। ঘটনা নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে দুষেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।
এসআইআর নিয়ে বাংলায় জোর রাজনৈতিক চর্চা চলছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ভূতুড়ে ভোটার নিয়ে সরব হয়েছিলেন। বিজেপি রাজ্যে ভোটার তালিকায় কারচুপি করতে পারে বলে অভিযোগও উঠেছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক ভূতুড়ে ভোটার পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এবার বসিরহাট পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ২২৫ নম্বর বুথে ২৬ জন মৃতের নাম ভোটার তালিকায় পাওয়া গেল। পরিবারের লোকজন কখনও মৃতদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে কিনা খোঁজ নেননি বলে অভিযোগ। কীভাবে নাম সেই ভোটার তালিকায় থেকে গেল, সেই বিষয়ও অজানা পরিবারের সদস্যদের। মৃতের ডেথ সার্টিফিকেট জমা দিয়ে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া হয়। সেই সার্টিফিকেট জমা দেওয়া হয়েছিল কিনা, সেই প্রশ্নও উঠেছে।
স্থানীয়দের অনেকেরই অভিযোগ, ভোটের সময় মৃতদের নামে ভোট দেওয়া হয়। কারা এই কাজ করে, তাই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। পুরসভার উপ পুরপ্রধান সুবীর সরকার এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে দুষেছেন। তিনি বলেন, “শুধু এই একটা বুথ নয়। বসিরহাট পুর এলাকায় যত বুথ আছে, সবেতেই এরকম ভোটার কিছু পাওয়া যাবে। আমরা এগুলো সংশোধন করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। আমরা আবার জানাব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.