সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশ আধিকারিক।
অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: চম্পাসারিতে এটিএম লুটের ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। লুটের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩ দুষ্কৃতী। ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩ লক্ষ টাকা। জানা গিয়েছে, ধৃতরা হরিয়ানার বাসিন্দা। দুই অভিযুক্ত শিলিগুলির সেবক লাগোয়া জঙ্গল এলাকায় গা ঢাকা দিয়েছিল। তাদের গতকাল, সোমবার পাকড়াও করা হয়েছে। তৃতীয় দুষ্কৃতীকে হরিয়ানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ, মঙ্গলবার ধৃতদের শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।
দিন কয়েক আগে শিলিগুড়ির চম্পাসারিতে এটিএম ভেঙে ১০ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা লুট হয়েছিল। ঘটনার তদন্তে নামে প্রধাননগর থানার অ্যান্টি-ক্রাইম শাখা। একাধিক সূত্র মারফত পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্তরা ভিনরাজ্য থেকে এসেছিল। এটিএম লুট করে তারা পালিয়েছে। পরবর্তীকালে পুলিশ জানতে পারে হরিয়ানার একটি গ্যাং এই কাজ করেছে। প্রধাননগর থানার আধিকারিকরা হরিয়ানায় পৌঁছেছিলেন। মহম্মদ খুরশেদ নামে এক অভিযুক্তকে সেই রাজ্য থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, অন্য দুই দুষ্কৃতী শিলিগুড়িতেই লুকিয়ে আছে। এরপর আরও জানা যায়, সেবক লাগোয়া জঙ্গলে দু’জন আস্তানা করে আছে। এরপর আর কালবিলম্ব করেননি তদন্তকারীরা। গতকাল সোমবার, পুলিশের তরফে ওই জঙ্গলে অভিযান চালানো হয়।
জঙ্গল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মহম্মদ ইসরাইল, জাভেদ খানকে। এদিকে হরিয়ানা থেকেও শিলিগুড়িতে নিয়ে আসা হয় ধৃত মহম্মদ খুরশেদকে। ধৃতদের থেকে উদ্ধার হয়েছে লুটের ৩ লক্ষ টাকা। বাকি টাকা কোথায়, তা জানার চেষ্টা চলছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ধৃতরা তিনজনেই হরিয়ানার নুহূ জেলার বাসিন্দা। তারা কুখ্যাত মেওয়াত গ্যাং-এর সদস্য। এই গ্যাং বিভিন্ন রাজ্যের এটিএম লুট করে থাকে বলে অভিযোগ। তারাই শিলিগুড়িতে হানা দেয়। এদিকে শিলিগুড়িতে সোনার দোকানেও ভয়াবহ ডাকাতি হয়েছে। ওই ঘটনাতেও কি এই গ্যাং- এর হাত রয়েছে? সেই প্রশ্নও উঠেছে। পুলিশ আধিকারিক বিশ্বচাঁদ ঠাকুর জানান, এটিএম লুট কাণ্ডে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তার তদন্ত চলছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.