নিজস্ব ছবি
রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: এক রাতের ভারী বৃষ্টিতে রাতারাতি বদলে গিয়েছে উত্তরবঙ্গ! ঘটনার কয়েকদিন পরেও ছড়িয়ে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ছবি। এরমাঝেই মঙ্গলবার থেকে খুলে গিয়েছিল বক্সা। এবার শুক্রবার সকাল থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে গেল জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান।
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের তিনটে রুটে সাফারি চালু করল বন দপ্তর। মোট চার রুটে সাফারি চলে। এর মধ্যে শালকুমার-জলদাপাড়া, কোদাল বস্তি এবং চিলাপাতা, এই তিন রুটে শুক্রবার পর্যটন চালু করলো বন দপ্তর।
তবে সবথেকে জনপ্রিয় হলং রুট এখনও চালু করতে পারেনি বনদপ্তর। এই রুটে হলং ব্রিজ ভাঙা। সেই কারণেই এই রুটে পর্যটন চালু করা যায়নি বলে জানা গিয়েছে। তবে খুব দ্রুত এই রুট চালু করা হবে বলে জানিয়েছে বনদপ্তর।
জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও পারভীন কাশোয়ান জানিয়েছেন, “জলদাপাড়ার লাইফলাইন তোর্ষা। কিন্তু বৃষ্টি বেশি হওয়ায় এই নদীতেই বন্যা হয়েছে। গণ্ডারদের জঙ্গলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। স্থানীয় মানুষ এই কাজে সাহাজ্য করেছেন। বন্যপ্রাণীর বড় কোনও ক্ষতি হয়নি। দ্রুত ব্রিজ তৈরির কাজ চলছে যাতে হলং রুট চালু করা যায়।”
প্রথম দিনেই পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। জলদাপাড়ায় ঘুরে তারা খুশি।
বন্যায় সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান। শিলতোর্সা, শিসামারা, হলং-সহ একাধিক ছোট বড় নদীতে ভুটান থেকে জল এসে তছনছ করে দিয়েছে ২১৬ বর্গ কিলোমিটারের জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান। বিস্তীর্ণ তৃণভূমিতে পলি পড়ে সবুজ নষ্ট হয়েছে।
এই তৃণভূমিই গন্ডারের আবাসস্থল। তবে সব বাঁধা বিপর্যয় কাটিয়ে আবার স্বাভাবিক হচ্ছে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান। খুলছে পর্যটন। সাফারির চাকা ঘুরছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.