দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাস। নিজস্ব চিত্র
সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: যাত্রীবাহী চলন্ত বাসের সামনের চাকার অংশ খুলে গেল। তার জেরে উলটে গেল বাস। ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার নবদ্বীপ-কৃষ্ণনগর জাতীয় সড়কে। দুর্ঘটনায় জখম বাসের ৩০ জন যাত্রী। তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে খবর। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, আজ, সোমবার সকাল থেকেই দফায় দফায় বৃষ্টি হচ্ছে। সকালে যাত্রীদের নিয়ে বর্ধমান থেকে নবদ্বীপ হয়ে কৃষ্ণনগরের দিকে যাচ্ছিল একটি বেসরকারি বাস। সকালবেলা বলে বাসে অফিসযাত্রী ও নিত্য যাতায়াত করা লোকজনের ভিড় ছিল। নবদ্বীপ-কৃষ্ণনগর রাজ্য সড়কের উপর দিয়ে ওই বাসটি যাওয়ার জন্য সেটির সামনের একটি চাকার অংশ খুলে যায়। এদিকে সেখানেই রাস্তার উপর গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি বাম্পার ছিল। সেই বাম্পারে সামনের চাকা ওঠার পর চালক বাসটিকে আর নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি বলে খবর। কিছু দূর গিয়ে রাস্তার মধ্যেই সেটি উলটে যায়। বাসের মধ্যে আটকে পড়েন যাত্রীরা।
এদিন, সকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে কৃষ্ণনগর হেলিপ্যাড মোড়ের কাছে। বিকট আওয়াজ শুনে চমকে ওঠেন স্থানীয়রা। তাঁরাই প্রথমে বাসের ভিতর আটকে থাকা যাত্রীদের উদ্ধারের জন্য হাত লাগান। খবর দেওয়া হয় কোতোয়ালি থানায়। বাসের জানলা দিয়ে একে একে জখম যাত্রীদের বার করে আনা হয়। ৩০ জনের বেশি যাত্রী এই দুর্ঘটনায় জখম হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের শারীরিক অবস্থা গুরুতর বলে খবর।
কিন্তু বাসের সামনের চাকার অংশ খুলে যায় কীভাবে? তাহলে কি বাসটির রক্ষণাবেক্ষণ হত না ঠিকভাবে? বাসটির ফিটনেস সার্টিফিকেট কতদিন আগের? সেসব প্রশ্ন উঠেছে। ওই এলাকার সামনেই রয়েছে একটি স্কুল। এছাড়াও দোকানপাট আছে। ফলে আরও বড় দুর্ঘটনা হতে পারত বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের। কোতয়ালি থানার পুলিশ দুর্ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। ক্রেন দিয়ে বাসটিকে রাস্তা থেকে সরানো হয়। দুর্ঘটনার পর যানজট দেখা যায় ওই রাস্তায়। বেশ কিছু সময় পরে যানজট মুক্ত হয় ওই এলাকা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.