প্রতীকী ছবি
শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: যা প্রত্যাশা ছিল তার চাইতে যেন বেশি প্রাপ্তি। প্রথম দিনেই নিলামে বিক্রি হয়ে গেল ৪৫ হাজার কেজি চা। সর্বোচ্চ চায়ের দাম উঠল ২২৭ টাকা কেজি। দীর্ঘ এক দশক পর সোমবার ফের দরজা খুলল জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্র। শুরু হল চা নিলাম। ২০০৫ সালে শুরু হয়ে ২০১৫ সালে চায়ের অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল যে নিলাম কেন্দ্র। এদিন ১ লক্ষ ৫ হাজার কেজি চা নিয়ে নতুন করে যাত্রা শুরু করল নিলাম কেন্দ্র। জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্রের সহ সভাপতি পুরজিৎ বক্সী গুপ্ত জানান, প্রথম দিনই ৪৫ হাজার কেজি চা নিলাম হয়ে গিয়েছে। সর্বোচ্চ দাম উঠেছে ২২৭ টাকা। সর্বনিম্ন ১১৪ টাকা ৮৩ পয়সা।
দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে এদিন নিলাম ঘরে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন জলপাইগুড়ির সাংসদ ডাঃ জয়ন্ত কুমার রায়, বিধায়ক ডাঃ প্রদীপ কুমার বর্মা,ভারতীয় চা পর্ষদের ডেপুটি ডাইরেক্টর কমল বৈশ্য। চা নিলাম কেন্দ্রের সহ সভাপতি পুরজিৎ বক্সিগুপ্ত, সঞ্জয় ধানুটি। সাংসদ ডা: জয়ন্তকুমার রায় বলেন, জলপাইগুড়িবাসীর কাছে এটা খুবই খুশির খবর। চা নিলাম কেন্দ্রর মাধ্যমে জলপাইগুড়ি আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হবে। এবার ভালোভাবে নিলাম প্রক্রিয়া চলবে বলে আশা প্রকাশ করেন সাংসদ। বিধায়ক ডাঃ প্রদীপকুমার বর্মা বলেন, ‘‘চা-এর জেলা জলপাইগুড়ি। জলপাইগুড়িতে চা নিলাম কেন্দ্র চালু হয়েও চায়ের অভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সকলেই হতাশা প্রকাশ করেছিলেন। ফের এই নিলামকেন্দ্র চালু হল। শা রাখি, আগামীতে আর চা-এর অভাব হবে না।’’
এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চে সাংসদের কন্ঠে ভাওয়াইয়া আর বিধায়কের গলায় রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনে উজ্জীবিত হয়ে ওঠেন উপস্থিত সকলেই। জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্রের সহ সভাপতি বলেন, প্রথমদিনেই যথেষ্ট ভালো সাড়া পাওয়া গিয়েছে। যা আমাদের উৎসাহিত করেছে। প্রতি সোমবার করে নিলাম হবে। নর্থ বেঙ্গল টি প্রোডিউসার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সঞ্জয় ধানুটিকে বলেন, ‘‘আমরা খুব খুশি। দীর্ঘ চেষ্টার পর ফের জলপাইগুড়িতে নিলাম প্রক্রিয়া শুরু হল।’’ আগামীতে চায়ের পরিমাণ বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.