ধৃত তিন যুবক। নিজস্ব চিত্র
টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: বাইরে থেকে লোকজন এসে সমীক্ষা করতে পারে। পরিচয়পত্র নিয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। সেই বিষয়ে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে আশঙ্কা করে প্রচার চলছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সজাগ থাকার বার্তা দিয়েছিলেন। সেই ঘটনাই কি ঘটল? বাঁকুড়া শহরে সমীক্ষা চালাতে গিয়ে ধরা পড়ল দুই মহিলা-সহ পাঁচজন। ধৃতদের আজ, সোমবার আদালতে তোলা হয়। তাঁদের দু’দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। পুলিশ ধৃতদের জেরা করে একাধিক বিষয়ে তথ্য জানার চেষ্টা চালাচ্ছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে গতকাল রবিবার অপরিচিত দুই মহিলা ও তিন যুবককে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল। তাঁদের নাম আরতি মোদক, শিখা মাজি, প্রবীর ঘোষ, হারাধন লোহার, সুদীপ মণ্ডল। এলাকার বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাঁরা জানিয়েছিলেন, একটি সংস্থার থেকে জনমত সমীক্ষা করার জন্য গিয়েছেন। সেজন্য বাসিন্দাদের থেকে ভোটার, আধার, রেশন কার্ডও দেখতে চাওয়া হয়। পরিবারে কতজন সদস্য আছেন? ভোটাধিকারের অধিকার কতজনের আছে? সেসব কথা শোনার পাশাপাশি বাসিন্দাদের কথাবার্তা রেকর্ডও করা হচ্ছিল। এছাড়াও মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে তথ্য নিয়ে ফর্মপূরণ করা হচ্ছিল। বিষয়টি জানতে পেরে ওই এলাকার কাউন্সিলর বাপি চক্রবর্তী ঘটনাস্থলে জানান। ওই ব্যক্তিদের পরিচয় জানতে চাওয়া হয়। কিন্তু নিজেদের বিষয়ে পরিষ্কার কোনও কথা তাঁরা বলতে পারেননি।
এরপরেও পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ জেরার জন্য তাঁদের আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কোনও পরিষ্কার তথ্য পাওয়া যায়নি। পুলিশের কাছে জানানো হয়, একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে তাঁরা সমীক্ষা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু কোন সংস্থার থেকে তাঁরা গিয়েছিলেন, সেই সম্পর্কে তেমন তথ্য দিতে পারেননি। এরপরেই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের মধ্যে একজনের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে। অন্যদের বাড়ি বাঁকুড়াতেই।
কী কারণে তাঁরা এই সমীক্ষা চালাচ্ছিলেন? তাঁরা কি তথ্য পাচারের কাজ করেন? কোনও চক্র এর পিছনে কাজ করছে? নাকি কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে এই সমীক্ষা করতে তাঁরা গিয়েছিলেন? সেসব বিষয় জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.