Advertisement
Advertisement
Center's e-Governance Award

কেন্দ্রের ই-গভর্ন্যান্স পুরস্কার পাবে বাংলার ৭ পঞ্চায়েত, তালিকায় পুরুলিয়া থেকে আলিপুরদুয়ার

রাজ্যে পালাবদলের পর একের পর এক গ্রাম পঞ্চায়েত ই-গভর্নেন্সে এগিয়ে যাচ্ছে।

7 Panchayats of Bengal will receive Center's e-Governance Award
Published by: Subhankar Patra
  • Posted:April 1, 2025 2:37 pm
  • Updated:April 1, 2025 2:37 pm  

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: ন্যাশনাল ই-গভর্নেন্স অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হয়েছে বাংলার সাত পঞ্চায়েত। তালিকায় নাম রয়েছে, আলিপুরদুয়ার, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ও হুগলি জেলার। এই জেলাগুলির সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েত হল- আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম ব্লকের টুরটুরিখান্দা, হাওড়ার শ্যামপুর ২ ব্লকের বানেশ্বরপুর ২, উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুর এক-র মাঝিপাড়া পলাশি, পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুর ২ ব্লকের কালিয়াড়া ২, পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া ব্লকের দেভোগ, পুরুলিয়ার কাশীপুর ব্লকের কাশীপুর, হুগলির সিঙ্গুর ব্লকের মির্জাপুর-বঙ্কিপুর।

Advertisement

এই মর্মে রাজ্য পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগ এই জেলাগুলির ব্লকের পঞ্চায়েতকে জানিয়ে দিয়েছে। সেখানকার ই গভর্নেন্স-র নিরিখে রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও বিভাগে তথ্যসমূহ নিয়ে একটি ভিডিও পাঠাতে বলা হয়েছে ১ এপ্রিলের মধ্যে। যা পরবর্তী কালে কেন্দ্রের পঞ্চায়েত মন্ত্রকে পাঠাবে রাজ্য। তারপর তাঁরা এই বিষয়ে নির্বাচন করবে।

রাজ্যে পালাবদলের পর একের পর এক গ্রাম পঞ্চায়েত ই-গভর্নেন্সে এগিয়ে যাচ্ছে। রাজ্যে এই কাজে অগ্রণী পুরুলিয়ার পুঞ্চা ব্লকের লাখরা গ্রাম পঞ্চায়েত। এরপর একই খেতাবে জুড়তে চলেছে জঙ্গলমহল পুরুলিয়ার কাশীপুর ব্লকের কাশীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। কাশীপুর ব্লকের বিডিও সুপ্রিম দাস বলেন, “আমাদের ব্লকের কাশীপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ই-গভর্নেন্সে জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার জন্য মনোনীত হয়েছে। এটা আমাদের কাছে গর্বের। রাজ্যের তরফে এই সংক্রান্ত বিষয় যে তথ্য এবং ভিডিও তা আমরা যথাসময়ে পাঠিয়ে দেব।”

যে সকল গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে এগুলির প্রত্যেকটি ই-গভর্ন্যান্সে একটি আলাদা ছাপ ফেলেছে সংশ্লিষ্ট জেলায়। এই গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে জন্ম-মৃত্যু শংসাপত্র অনলাইনের মাধ্যমে মিলছে। পঞ্চায়েতের পরিষেবা পেতে কখনওই সেখানকার মানুষজনকে আর দুর্ভোগ পোহাতে হয় না। নষ্ট হয় না সময়। হয়রানি থেকে রেহাই মিলে ঘরে বসেই পরিষেবা পাওয়া যায়। অনলাইন পরিষেবা হওয়ায় স্বচ্ছতাতেও এগিয়ে গিয়েছে এই পঞ্চায়েতগুলি। অভিযোগ অনলাইনে জানালে তার চটজলদি সমাধান হয়ে যাচ্ছে। কারণ এই অনলাইনে জুড়ে রয়েছে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিভাগ। অভিযোগের সুরাহা না হলে রাজ্যের নজরে পড়বে। তাই সেই কাজেও দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরেই রাজ্য সরকারের বিভিন্ন বিভাগ তাঁর কাজে কেন্দ্রীয় সরকারের নানা পুরস্কার পেয়ে আসছে। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনের আগে পরিষেবাদানে ই-গভর্ন্যান্সের ক্ষেত্রে রাজ্যের সাত পঞ্চায়েতের এই শ্রেষ্ঠত্ব যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে থাকবে।

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement