Advertisement
Advertisement
Kalipuja

কালীপুজোয় বাড়ি ফেরা হল না, উত্তরপ্রদেশে সেনার ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে মৃত নদিয়ার জওয়ান

কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার।

A jawan of Nadia died in Uttar Pradesh | Sangbad Pratidin
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:October 7, 2022 4:36 pm
  • Updated:October 7, 2022 10:13 pm   

রমনী বিশ্বাস, তেহট্ট: ভারতীয় সেনার ট্যাঙ্ক বিস্ফোরণে মৃত তেহট্টের (Tehatta) জওয়ান। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসিতে। সূত্রের খবর, প্রশিক্ষণের সময় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় দু’জনের। তার মধ্যে একজন নদিয়া পলাশিপাড়া থানার হাঁসপুকুরিয়ার বাসিন্দা সুকান্ত মণ্ডল। তাঁর কফিনবন্দি দেহ ফেরার অপেক্ষায় শোকাহত পরিবার পরিজনেরা।

Advertisement

পরিবার ও প্রতিবেশী সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ঘড়ির কাঁটায় রাত দশটা। সেই সময় সুকান্তের বাড়িতে যান পাশের গ্রাম ধোপট্টর বাসিন্দা সুমন্ত মণ্ডল। তিনিও সেনাবাহিনীতে কর্মরত। তিনিই সুকান্তের পরিবারকে জানান মৃত্যুর খবর। জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে ভারতীয় সেনায় চাকরি পান সুকান্ত মণ্ডল। উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসির ববিনা ৫৫ আরমার্ড রেজিমেন্টে একইসঙ্গে কর্মরত ছিলেন সুকান্ত ও সুমন্ত। একমাস আগে ছুটিতে গ্রামে আসেন সুমন্ত। বৃহস্পতিবার রাতে ববিনা ৫৫ আরমার্ড রেজিমেন্ট থেকে ফোন আসে তাঁর কাছে। সুকান্তের মৃত্যুর খবর তার পরিবারের কাছে পৌঁছে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে।

[আরও পড়ুন: গরুপাচার মামলার ‘মূল পৃষ্ঠপোষক’ অনুব্রত, গ্রেপ্তারির ৫৭ দিনের মাথায় চার্জশিটে দাবি সিবিআইয়ের]

কিন্তু কীভাবে মৃত্যু হল? গত বৃহস্পতিবার সন্ধেয় ববিনা রেজিমেন্টের নির্দিষ্ট জায়গায় ট্যাঙ্কের প্রশিক্ষণ চলছিল। সেখানে বিস্ফোরণ ঘটে। তাতে ছিল কমান্ডার, গানার ও চালক। সুকান্ত গানার হিসেবেই কর্মরত ছিলেন। ঐ দুর্ঘটনার পর তিনজনকেই সেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সুকান্ত ও রাজস্থান নিবাসী কমান্ডারকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তবে ট্যাংকের চালকের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় তিনি হাসপাতালে।

পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে চাকরি পান সুকান্ত। চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর একবার বাড়ি এসে কিছুদিন ছিলেন তিনি। এই মাসের ১৩ তারিখ বাড়ি আসার কথা ছিল তাঁর। কালিপুজো কাটিয়েই কাজে যোগ দিতেন। কিন্তু ঘরে ফেরা আর হল না। সুকান্তর মা রিঙ্কু মণ্ডল বলেন, “প্রত্যেক দিন ফোনে কথা হতো। দশমীর দিনেও ফোনে পরিবার ও বন্ধুদের সাথে কথা বলে। কিন্তু বৃহস্পতিবার কথা হয়নি‌। ঐ রাতেই এই দুর্ঘটনা খবর শুনি। এই কথা কটা বলেই ছেলের ছবি আঁকড়ে ধরে জ্ঞান হারান রিঙ্কু দেবী। এখন দেহ আসার অপেক্ষায় সকলেই।”

[আরও পড়ুন: মালবাজারে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে বিজেপির প্রতিনিধি দল, মৃতদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ