সুমন করাতি, হুগলি: দাম্পত্য অশান্তি ছিলই। স্বামীর বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগও দায়ের করেছিলেন থানায়। সেই অভিযোগের সূত্র ধরে স্বামীকে থানায় ডেকে পাঠায়। তারপরই স্ত্রীকে ফোন করে খুনের হুমকি দেয় যুবক। ভয়ে কাঁটা হয়ে যান বধূ। আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার পথে স্ত্রীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল ওই যুবকের বিরুদ্ধে। হুগলির দাদপুর থানার বিলাতপুর এলাকার ঘটনায় জোর শোরগোল।
সিঙ্গুরের পায়ড়াউড়া গ্রামে বাড়ি রজব আলির। বছর কয়েক আগে মঞ্জুরা খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। ভদ্রেশ্বরের নপাড়ার বাপের বাড়ি তাঁর। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই দাম্পত্য অশান্তি লেগে ছিল। মঞ্জুরার দাদা শেখ রফিক বলেন, “দিন পনেরা আগে কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে রজব বোনকে মারধর করে। বাপের বাড়িতে চলে আসে বোন। ভদ্রেশ্বর থানায় বধূ নির্যাতনের একটি মামলা দায়ের করে। রজব বোনকে ফোন করে। জানায় ঝামেলা মিটিয়ে নিয়ে আবার তারা সংসার করবে। মঞ্জুরা আবার শ্বশুরবাড়ি যান। দিনদুয়েক আগে ভদ্রেশ্বর থানার শ্বেতপুর পুলিশ ফাঁড়ি থেকে ফোন করে রজবকে দেখা করতে বলে পুলিশ।” অভিযোগ, রজব শনিবার রাত ১১টা নাগাদ তার স্ত্রীকে ফোন করে। হুমকি দেয়, “জেলে যখন যেতেই হবে, তোকে মেরে তবেই যাব।” আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মঞ্জুরা। তাঁর দুই সন্তান প্রতিবেশী মহিলাকে নিয়ে হারিট গ্রাম পঞ্চায়েতের জেটে মামাবাড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করেন। বিলাতপুরের কাছে তাকে ধরে ফেলে।
দুই সন্তানকে তাঁর এক বন্ধু মারফৎ বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। মঞ্জুরা সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। অভিযোগ, তাকে তাড়া করে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়। মঞ্জুরার সঙ্গে থাকা ওই মহিলা ফোন করে বাপের বাড়ির লোকজনদের খবর দেয়। রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দেহ উদ্ধার করে। চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠায়। দাদপুর থানার পুলিশ খুনের মামলার রুজু করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এখনও অভিযুক্ত রজব পলাতক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.