জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রথমে বাইক চুরি। তারপর তা এক জায়গায় জড়ো করে যন্ত্রাংশ খুলে ফেলা হয়। এবার তা বস্তাবন্দি করে ভাসিয়ে দেওয়া হয় ইছামতীতে। বাংলাদেশ থেকে কেউ তা সংগ্রহ করে নেয়। এভাবেই দিব্যি চলছিল মোটর বাইক পাচার। পেট্রাপোল থানার পুলিশ এই ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে। তার বাড়ি থেকে ৪টি চোরাই বাইক উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম রাজু মণ্ডল। পেট্রাপোল এলাকার বাসিন্দা সে। বাংলাদেশে বাইক পাচারের মূল পাণ্ডাই ছিল সে। ঠিক কীভাবে বাইক পাচার চলত, তা জেরায় জানায় অভিযুক্ত। ধৃত ও তার সাগরেদরা বিভিন্ন ফাঁকা এলাকা থেকে বাইক চুরি করে পেট্রাপোল এলাকায় আনত। তারপর সেই বাইকগুলি সম্পূর্ণ খুলে ফেলা হত। আলাদা করে দেওয়া হত প্রতিটি যন্ত্রাংশ। এবার তা ফাঁকা বস্তায় ভরা হত। সুযোগ বুঝে বিএসএফের নজরদারি এড়িয়ে সেই বস্তাগুলি কলার ভেলায় করে সীমান্ত লাগোয়া ইছামতী নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হত। পাচার হওয়া বস্তা কেউ সংগ্রহ করত। তারপর মোটা অঙ্কের টাকা পাচারকারীর হাতে চলে আসত।
আরও জানা গিয়েছে, সীমান্তে কড়াকড়ি থাকায় কয়েকজন গ্যারেজ মিস্ত্রির সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিল ধৃত। চোরাই বাইকগুলি গ্যারেজে নিয়ে গিয়ে কিংবা বাড়িতে বসেই যন্ত্রাংশ খুলে ফেলা হত। তারপর বস্তাবন্দি করে সুযোগ বুঝে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হত। বাংলাদেশে ওই বাইকগুলি ৩৫-৫৫ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি করা হত। একটি বাইক বিক্রি করে পাচারকারীর ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা লাভ থাকত।
বাংলাদেশে এদেশের বাইকের ভাল চাহিদা থাকায় বিভিন্ন এলাকায় প্রায়ই চুরির ঘটনা ঘটে। ধৃত রাজুর সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত আছে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। ধৃতকে জেরা করে বাকিদের খোঁজ পাওয়া সম্ভব হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.