Advertisement
Advertisement
গাছ

গাছ চুরিতে নাম জড়াল পঞ্চায়েতের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষের, শাস্তির দাবিতে সরব সবমহল

চুরি যাওয়া গাছের আনুমানিক বাজার মূল্য ৩০ লক্ষ টাকা।

A TMC accused of smuggling valuable trees in Mursidabdah
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:May 6, 2020 8:15 pm
  • Updated:May 6, 2020 8:15 pm   

শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: লকডাউন চলাকালীন প্রশাসনের নজর এড়িয়ে কৃষি দপ্তরের ৫০ টিরও বেশি শাল, সেগুন গাছ কেটে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল খোদ তৃণমুল পরিচালিত পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। চুরি যাওয়া গাছগুলির আনুমানিক বাজার মূল্য ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা। এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের সুতি-২ ব্লক-সহ কৃষি অধিকর্তার দপ্তরে। এঘটনায় ফার্মের গেটম্যান তথা নাইটগার্ড ইন্দ্রজিৎ দাসকে শোকজ ও সুতি থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় তৃণমুল ও কংগ্রেস নেতৃত্ব। যদিও কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রবিউল হক তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিওিহীন বলে দাবি করেছেন।

Advertisement

লকডাউনের মাঝে ব্লক অফিসের সামনে থেকে দিনে দুপুরে অর্ধশতাধিক গাছ উবে যাওয়ার ঘটনায় রীতিমতো বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। শুরু হয়েছে একে অপরকে কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি। কৃষি কর্মাধ্যক্ষ অভিযুক্ত রবিউল হক জানান, অফিসের পাঁচিল নির্মাণের জন্য গাছ কাটা হয়েছে। যে সমস্ত গাছ কাটা হয়েছে তা সবই শুকনো ছিল। তাই কেটে নেওয়া হয়েছে। যদিও কৃষি দপ্তরের কোনও অনুমতি তিনি নেননি বলেও জানান। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ মইদুল ইসলাম। পাশাপাশি রাজনৈতিক রং না দেখে প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

tree-1

[আরও পড়ুন:তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি-গুলি, ধারালো অস্ত্রের কোপ স্বামীকে]

অবৈধভাবে গাছ কাটা নিয়ে পাল্টা সরব হয়ে সুতি-২ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি আলফাজুদ্দিন বিশ্বাস বলেন, লকডাউনের মধ্যে লুকিয়ে এভাবে গাছ কেটে নেওয়া দুর্ভাগ্যজনক। ঘটনায় তৃণমূলের নেতারাই জড়িত রয়েছেন। আমরা অবিলম্বে ঘটনার তদন্ত করে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। এ প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ জেলা কৃষি দপ্তরের আধিকারিক তাপস কুণ্ডু (প্রশাসক) জানান, জঙ্গিপুর মহকুমা রিসার্চ ফার্মে লকডাউনের সুযোগ নিয়ে কে বা কারা অবৈধভাবে বেশ কিছু মূল্যবান গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছে। বিষয়টি নজরে আসতেই সুতি থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ফার্মের নাইড গার্ডকে শোকজ করা হয়েছে। একটি তদন্ত কমিটি করে তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করার জন্য।

[আরও পড়ুন: ফের করোনার থাবা অশোকনগরে, এবার আক্রান্ত এক পুলিশকর্মী]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ