Advertisement
Advertisement
TMC worker

ক্যানিংয়ে শুটআউট, দুষ্কৃতীর গুলিতে গুরুতর জখম তৃণমূল কর্মী

এখনও পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

A TMC worker injured in shootout at Canning । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:August 14, 2022 9:37 am
  • Updated:August 14, 2022 9:39 am   

দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতীর গুলি। জখম এক তৃণমূল কর্মী। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থানার ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বকরাবনি এলাকার ঘটনা। ক্যানিংয়ের আইসি সৌগত ঘোষের নেতৃত্বে এলাকায় হানা দেয় বিশাল পুলিশবাহিনী। রাতভর তল্লাশি চালিয়ে এখনও পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

Advertisement

জখম জসিমউদ্দিন মোল্লা, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থানার ইটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বকরাবনি এলাকার বাসিন্দা। শনিবার রাতে জসিমউদ্দিন স্থানীয় পেঁতুয়া বাজার থেকে থেকে বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় তাঁর বাইক ঘিরে ধরে জনাতিনেক দুষ্কৃতী। আচমকা সইদুল ঘরামি নামে এক দুষ্কৃতী জসিমউদ্দিনকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গুলি লাগে তাঁর বুকের বাম দিকে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যান ওই তৃণমূল কর্মী। দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গা ঢাকা দেয়। স্থানীয়রা ঘটনার খবর পেয়ে আহতকে উদ্ধার করে। চিকিৎসার জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই তৃণমূল কর্মীর অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। তাই রাতেই ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল থেকে তাঁকে কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই আপাতত চিকিৎসাধীন ওই তৃণমূল কর্মী।

[আরও পড়ুন: চিনার পার্কের ফ্ল্যাট থেকে নিজাম প্যালেসে গেল আলুপোস্ত-মাছের ঝোল, চেটেপুটে খেলেন কেষ্ট]

অন্যদিকে ঘটনার খরব পেয়ে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে পৌঁছন ক্যানিং মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দিবাকর দাস এবং ক্যানিং থানার আইসি সৌগত ঘোষ। আহত তৃণমূল কর্মীর সঙ্গে কথা বলে ঘটনার তদন্ত শুরু করে ক্যানিং থানার পুলিশ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতরা হল আমিরুল মোল্লা ওরফে কানকাটা হাসা, সইফুল ঘরামি, আলি হোসেন মোল্লা এবং সামসুর শেখ। ধৃতরা প্রত্যেকেই ক্যানিং থানা এলাকার বাসিন্দা।

উল্লেখ্য, শনিবার সকালে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের বাসতোপ গ্রামে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে তৃণমূল কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়। রায়গঞ্জ থানার পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। দলীয় কর্মীর মৃত্যুর খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছন স্থানীয় বিধায়ক মোশারফ হোসেন। তাঁর দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। টাকাপয়সা সংক্রান্ত বিবাদেই খুন হয়েছেন তৃণমূল কর্মী। পুলিশ সুপার সানা আখতারের দাবি, খুন হয়েছেন তৃণমূল কর্মী। এক অভিযুক্তকে চিহ্নিতও করেছে পুলিশ। 

[আরও পড়ুন: অনুব্রতর অনুুপস্থিতিতে বীরভূমে সংগঠন সামলাবেন কে? একাধিক নাম নিয়ে জল্পনা তৃণমূলে]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ