বিক্রম রায়, কোচবিহার: বাসে আলাপ। প্রথম সাক্ষাতেই মোবাইল নম্বর দেওয়া নেওয়া। ঘনঘন চলত কথাবার্তা। মাত্র কয়েকদিনেই জমে ক্ষীর পরকীয়া। কিন্তু প্রেমের বয়স সপ্তাহখানেক পেরতে না পেরতেই সব শেষ। প্রেমিকা হাতছাড়া। উপরন্তু যুবকের কপালে জুটল বেদম মার। কোচবিহার বাসস্ট্যান্ডের এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা।
প্রেমিকা দুই সন্তানের মা। স্বামীর সঙ্গে বনিবনা হয় না। তাই বামনহাটিতে বাপের বাড়িতেই থাকতেন তিনি। বাসে ওই যুবকের সঙ্গে আলাপ। মোবাইল নম্বর দেওয়া নেওয়ার পর থেকে কখনও ফোনে, আবার কখনও মেসেজে কথাবার্তা লেগেই ছিল। পরিবারের লোকজনের তা দেখে সন্দেহ হয়। গত মঙ্গলবার বাড়িতে ছিলেন না তরুণী। খোঁজখবর নিয়ে প্রেমিকার হবু বউদি জানতে পারেন, ওই যুবকের সঙ্গে ফালাকাটার এক হোটেলে গিয়ে উঠেছেন তরুণী। কয়েকরাত কাটিয়েছেন তাঁরা। খোঁজখবর নিয়ে হোটেল থেকে হবু ননদকে উদ্ধার করেন তিনি। বাড়ি ফিরে আসার পর দুই সন্তানের মায়ের মোবাইল কেড়ে নেন পরিবারের লোকজনেরা। তবে সেকথা জানতেন না প্রেমিক। তাই ফোনে কথাবার্তা চলছিল। প্রেমিকা সেজে তরুণীর হবু বউদি কথাবার্তা বলছিলেন। প্রেমিকার হবু বউদির দাবি, নানা কটূক্তি করত যুবক। বিভিন্ন রকম প্রলোভন দেখাত। প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওই যুবক কেরলে নিয়ে গিয়ে তরুণীকে বিক্রি করে দেওয়ার ছক কষে বলেই দাবি প্রেমিকার হবু বউদির।
ইতিমধ্যে বৃহস্পতিবার কোচবিহার বাসস্ট্যান্ডে দেখা করার পরিকল্পনা করেন প্রেমিকার হবু বউদি। তখনও ওই যুবক জানতেন না তিনি আসলে প্রেমিকা নন, তরুণীর হবু বউদির সঙ্গে কথা বলছেন। নির্দিষ্ট সময়মতো এদিন বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছন ওই যুবক। প্রেমিকার দাদা এবং হবু বউদিকে দেখে হকচকিয়ে যান। কিছু বুঝে ওঠার আগে বাসস্ট্যান্ড ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। পালাতে গিয়ে আরেক বিপত্তি। বাসস্ট্যান্ডে পড়ে মুখ ফেটে যায় তাঁর। রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, “এক মহিলা হঠাৎ চিৎকার করছে শুনতে পাই। দেখি একটা ছেলে দৌড়তে গিয়ে পড়ে গেল। মুখ ফেটে রক্ত বেরতে শুরু করে। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। তারপর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।” বক্সিরহাটের ওই যুবককে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.