Advertisement
Advertisement

পুলিশের তাড়া খেয়ে ভাগীরথীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু যুবকের, খুনের অভিযোগ তুলে সরব পরিবার

কী সাফাই পুলিশের।

A youth of Beharampur drowned to death on sunday | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:August 7, 2023 11:46 am
  • Updated:August 7, 2023 11:59 am  

কল্যাণ চন্দ, বহরমপুর: ফের কাঠগড়ায় পুলিশ। এবার ঘটনাস্থল বহরমপুরের সৈদাবাদ। অভিযোগ, পুলিশের তাড়া ভাগীরথীতে ঝাঁপ দিয়ে মৃত কলেজ ছাত্র। দীর্ঘক্ষণ পর উদ্ধার দেহ। পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলে তদন্তের দাবি জানিয়েছে মৃতের পরিবার।

Advertisement

রবিবার রাত্রে অতনু ঘোষ (২১) নামে দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার হয় ভাগীরথী থেকে। পুলিশ ছাত্রের দেহ উদ্ধার করে বহরমপুর মর্গে পাঠায়। এরপরই পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন ছাত্রের বাবা নির্মল ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, গত কয়েকদিন আগে সৈদাবাদের একটি চায়ের দোকানে ঝামেলা হয়েছিল। সেই ঘটনার অভিযুক্তদের খুঁজছিল পুলিশ। শনিবার বেলা ১২ নাগাদ তাঁর ছেলে অতনু এক বন্ধুর সঙ্গে বহরমপুরের মনীন্দ্রচন্দ্র বিদ্যাপীঠের মাঠে খেলাধুলা করছিল। সেই সময় সৈদাবাদ ফাঁড়ির পুলিশ অতনুকে ধরে। পুলিশের হাত থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে পাশের ভাগীরথী নদীতে ঝাঁপ দেয় অতনু। নির্মলবাবু বিকেলে বাড়ি ফিরে দেখেন ছেলে নেই। মোবাইল সুইচ অফ। এরপরই খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। ছেলেকে না পেয়ে সৈদাবাদ ফাঁড়ির পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তিনি। কিন্তু পুলিশ কোনও সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ।

[আরও পড়ুন: চায়ের দোকান যেন GK-র ভাণ্ডার! দেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নাম, তথ্য মিলবে এখানে]

রবিবার রাত্রে ভাগীরথী নদীর রাধারঘাট এলাকায় তার একমাত্র ছেলের মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায়। নির্মল ঘোষের প্রশ্ন, তাঁর ছেলে দোষী হলে পুলিশ তার বাড়িতে যেতে পারত, তাকে জানাতে পারত। কিন্তু কেন এভাবে তাড়া করল? ঝাঁপ দেওয়ার পর কেন অতনুকে বাঁচানোর চেষ্টা হল না? ঘটনার বিচার চেয়েছেন তিনি। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, অতনুকে ধরা হয়নি, পুলিশের জিপ দেখে ভয়ে অতনু নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে। সেই ইনফরমেশনও পুলিশের কাছে ছিল না। তা না হলে পুলিশ ওই ছাত্রকে অবশ্যই উদ্ধারের চেষ্টা করত।

[আরও পড়ুন: নকল ব্যালট বানিয়ে পুকুরে ফেলছে বিরোধীরাই! বিস্ফোরক দাবি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের]

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement