Advertisement
Advertisement
Aadhaar card

সিউড়িতে দু’ভাইয়ের আধার কার্ড নম্বর এক! প্রশাসনকে জানিয়ে ১০ বছরেও হয়নি সমাধান

দু'ভাইয়ের একই আধার নম্বর থাকায় রাজ্য সরকারের রেশন, ব্যাঙ্ক-সহ অন্যান্য পরিষেবা থেকে তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ।

Aadhaar card with same number of two brothers in Suri

ছবি: শান্তনু দাস

Published by: Subhankar Patra
  • Posted:March 5, 2025 4:06 pm
  • Updated:March 5, 2025 4:06 pm  

স্টাফ রিপোর্টার, সিউড়ি: একই নম্বরে দুটি আধার কার্ড! যার জেরে বিভ্রান্ত দুই ভাই। ভূতুড়ে ভোটার ইস্যুতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে এমন কাণ্ড সামনে এল সিউড়িতে। রাজ্যজুড়ে নকল ভোটার ইস্যুর বিতর্কের মাঝেই নরসিংহপুর গ্রামে এই বিভ্রান্তি সামনে চলে আসায় এবার সমস্যার সমাধান হতে পারে বলে আশা দু’ভাইয়ের।

দুর্গাপুর গ্রামের দুই ভাই রবীন্দ্র মাহারা ও গোবিন্দ মাহারার আধার কার্ড আলাদা। কিন্তু দুই আধার কার্ডের নম্বর একই। ফলে প্রশাসনিক নথিপত্রে তাঁদের পরিচয় নিয়ে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। অথচ দুই ভাই জানান, এই সমস্যা সমাধানে তাঁরা স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে প্রশাসনিক দপ্তরে বহুবার দরবার করেছেন। কোনও সুরাহা হয়নি। বরং একই নম্বর দুই ভাইয়ের থাকায় রাজ্য সরকারের রেশন, ব্যাঙ্ক-সহ অন্যান্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ।সরকারি কোনও সাহায্য তাঁরা পাচ্ছেন না। 

সিউড়ি-সাঁইথিয়া রাস্তার বাঁকে দুর্গাপুর গ্রাম। কখনও শ্রমজীবী, কখনও রাজমিস্ত্রীর কাজ করে তাঁরা। এই সমস্যা নিয়ে গত দশ বছর ধরে তাঁরা ভুগছেন। রবীন্দ্র মাহার বলেন, “গত দশ বছর ধরে রেশন পাই না। সিউড়ির সবকটা ব্যাঙ্কে ঘুরেছি। আধার নম্বর দিলেই ভুল ছবি বেরচ্ছে। অ্যাকাউন্ট করতে অসুবিধা। বাংলার বাড়ি, আবাস যোজনার কোনও টাকা পাই না। সরকারি খাতে কোনও টাকা আমাদের অ্যাকাউন্ট না থাকায় ঢোকে না।” গোবিন্দ বলেন, “দুই ভাইয়ের একই নম্বর। বহুবার অফিসে গিয়েছি, প্রশাসন জানিয়েছে রাঁচি যেতে হবে। সেখানেই আধার কার্ডের সংশোধন হয় সেখান থেকেই ঠিক করে আনতে হবে। আমাদের পক্ষে তা সম্ভব হয়নি। পঞ্চায়েত সদস্যকে জানিয়েছিলাম। তিনি চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কিছু হয়নি।”

পঞ্চায়েত সদস্য শেখ জিয়া বলেন, “মাস পাঁচেক আগে আমাদের জানিয়েছিল দুই ভাই। আধারের ফোন নম্বর পেয়ে আমরা সেখানে অনলাইনে অভিযোগ জানিয়েছি। রেশন কার্ড লাল হয়ে গিয়েছে। তারা রেশন পায় না। রাঁচি গিয়ে কোথায় যাবে, তার খরচ কে যোগাবে সে সামর্থ্য ওদের নেই।” যদিও জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, “আধার কার্ড সংশোধন যাঁরা করেন তাঁদেরকে দিয়ে এই ভুল সংশোধন করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি তাঁরা যেন সব সরকারি পরিষেবা পায় তা নিশ্চিত করা হবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement