Advertisement
Advertisement
Abhishek Banerjee

‘ভূতুড়ে ভোটার’, ‘মানুষের বাজেট’ বনাম নির্মলার ‘বঞ্চনা’, মমতার সুরেই আপ-কংগ্রেসকে ‘শিক্ষা’ অভিষেকের

'ভোট দিলে লাড্ডু আর ভোট না দিলে বঞ্চনা', কেন্দ্রকে খোঁচা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের।

Abhishek Banerjee praises West Bengal budget comparing to central budget
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:February 13, 2025 2:10 pm
  • Updated:February 13, 2025 3:02 pm   

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্র প্রতিশ্রুতি রাখে না আর রাজ্য কথা দিলে কথা রাখে। বুধবার রাজ্য বাজেটের পর এভাবেই কেন্দ্রের বাজেটের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তাঁরই সুরে বাজেট নিয়ে কেন্দ্রকে একের পর এক তোপ দাগলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সাতগাছিয়ায় ‘সেবাশ্রয়’ শিবির থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একাধিক বিষয় নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন। ছাব্বিশের নির্বাচনে মমতার কথামতো ‘একলা চলো’ নীতি থেকে দিল্লির ভোটে ‘ভূতুড়ে ভোটার’ তত্ত্ব, আপ-কংগ্রেসকে ‘শিক্ষা’, কেন্দ্রীয় বাজেটে বাংলাকে ‘বঞ্চনা’ – তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যে কড়া সমালোচনার আভাস।

Advertisement

বুধবার তৃতীয় মমতা সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ হয়েছে। এই বাজেটকে মানুষের বাজেট বলে দাবি করলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে ফের কেন্দ্রীয় বাজেটে বাংলার বঞ্চনার অভিযোগ তুলে সরব হলেন। তাঁর অভিযোগ, ভোটমুখী বিহারকে ঢেলে দেওয়া হয়েছে কিন্তু বাংলার প্রাপ্তির ভাঁড়ার শূন্য। এনিয়ে অভিষেকের কটাক্ষ, ”ভোট দিলে লাড্ডু আর ভোট না দিলে বঞ্চনা।”

গত ১ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের পরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া প্রতিক্রিয়া ছিল, ”নির্মলা সীতারমণ যে বাজেট পেশ করেছেন, সেটা বাংলা বিরোধী বাজেট। সুপরিকল্পিতভাবে বাংলার উন্নয়নযজ্ঞ রুখে দেওয়ার চেষ্টা।” বুধবার রাজ্য বাজেট পেশের পরেরদিন তার প্রশংসা করে তিনি দাবি তুললেন, কেন্দ্র কী খাতে কী খরচ করেছে, তার শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক। তাঁর কথায়, ”স্বাস্থ্যখাতে এত টাকা বরাদ্দ হল, কারা বলছে, এটা দিশাহীন বাজেট? মানুষের কথা ভেবে এই বাজেট হয়েছে। কেন্দ্রের মতো বঞ্চনার বাজেট নয়। কেন্দ্র তো বিহারকে ভরে দিয়েছে বাজেটে। আর বাংলাকে শুধুই বঞ্চনা।”

ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটারদের নাম তোলা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের গলাতেও শোনা গেল সেই একই অভিযোগ। বললেন, দিল্লিতে ভোটের ৭,৮ মাস আগে থেকে ধাপে ধাপে প্রায় ২০ হাজার ভোটারের নাম উঠেছে। আবার কিছু বাদও গিয়েছে। একেকটা বিধানসভায় একেকরকম হয়েছে। এটা খুব একটা সঠিক বলে আমার মনে হচ্ছে না।” দিল্লি ভোটে আপ-কংগ্রেসের ভরাডুবিতে সমন্বয়ের অভাবকে দায়ী করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এদিন অভিষেকের বক্তব্য, দিল্লির ফলাফল থেকে শিক্ষা নেওয়া দরকার। গণতন্ত্রে জনরায়কে সবসময় সম্মান জানাতে হয়। ছাব্বিশে তৃণমূল কি ‘একলা চলো’ নীতি নেবে? এ প্রশ্নের জবাবে অভিষেক বলেন, ”আমরা তো সেই ২০১৪ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত প্রতিটা নির্বাচনে একাই লড়েছি। লড়ে নিজেদের শক্তিও প্রমাণ করেছি। আর দিদিও বলেছেন, কাউকে দরকার নেই, নিজেরাই লড়াই করে আবারও প্রমাণ দেব। আমাদের সংগঠন অতি মজবুত।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ