অভিযুক্ত বাবলু যাদব।
বাবুল হক, মালদহ: মাথার দাম ছিল দু’লক্ষ টাকা। পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। অবশেষে মালদহ আদলতে আত্মসমর্পণ করল ইংলিশবাজার পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর বাবলা সরকার খুনের ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত বাবলু যাদব। শুক্রবার সকালে আদালতে আত্মসমর্পণ করে অভিযুক্ত। তাকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানাতে চলেছে ইংলিশবাজার থানার পুলিশ।
দুলাল সরকার ও ওরফে বাবলা খুনে অন্যতম অভিযুক্ত বাবলু যাদব। খুনের ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল সে। তার খোঁজ পেতে ছবি প্রকাশ দুই লক্ষ টাকা ইনাম ঘোষণা করে মালদহ জেলা পুলিশ। কিন্তু সাড়ে ছয় মাস পরেও তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে, এদিন মালদহ শহরের মহানন্দাপল্লীর বাসিন্দা বাবলু যাদব নিজেই আদালতে আত্মসমর্পণ করে। এনিয়ে ঘটনায় গ্রেপ্তার হল মোট ৯ জনকে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২ জানুয়ারি সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ নিজের প্লাইউড কারখানার কাছে খুন হন মালদহের তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার। দুষ্কৃতীরা রীতিমতো ধাওয়া করে, পরপর গুলি চালিয়ে খুন করে বাবলাকে। সিসি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে ঘটনার দিনই বিহারের কাটিহার জেলার বাসিন্দা দুই সুপারি কিলার সামি আকতার ও আবদুল গনিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সেই দিনই ইংলিশবাজার থানার গাবগাছির যদুপুরের বাসিন্দা টিঙ্কু ঘোষ নামে আর একজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। পরের দিন ইংলিশবাজার শহরের দুই বাসিন্দা অভিজিৎ ঘোষ ও অমিত রজককে গ্রেপ্তার করা হয়। বাবলা খুনে উঠে আসে মালদহের তৃণমূল নেতা নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারির নাম। খুনের মূল চক্রী হিসাবে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় তাঁর ঘনিষ্ঠ স্বপন শর্মাকেও। বিহার থেকে গ্রেপ্তার করে আনা হয় কৃষ্ণ রজক ওরফে রোহন নামে আরও এক অভিযুক্তকে। এবার আদালতে আত্মসমর্পণ করল বাবলু যাদব।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মালদহ সফরে গিয়ে বাবলা সরকারের বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী চৈতালি সরকারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। কাউকে রেয়াত করা হবে না বার্তা দেন মমতা।সেই বার্তাও মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছিলেন। পুলিশ তদন্তে নেমে একের পর এক অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে থাকে। এবার হাত এল অন্যতম অভিযুক্ত বাবলু যাদব।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.