Advertisement
Advertisement
North Bengal

হাড় ভেঙেছে চোখের নিচে, অস্ত্রোপচার খগেনের! নাগরাকাটা হামলায় এখনও অধরা অভিযুক্তরা

বন্যা বিধ্বস্ত নাগরাকাটা পরিদর্শনে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয় দুই বিজেপি নেতাকে।

accused still at large in nagrakata attack on bjp leaders
Published by: Kousik Sinha
  • Posted:October 7, 2025 10:06 am
  • Updated:October 7, 2025 10:44 am   

বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: বন্যা বিধ্বস্ত নাগরাকাটা পরিদর্শনে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয়েছে মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে। একেবারে রক্তাক্ত অবস্থায় সোমবারই শিলিগুড়ির এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খগেন মুর্মুকে। বর্তমানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, সাংসদের চোখের নিচের হাড় ভেঙেছে। প্রয়োজন অস্ত্রোপচারের। শোনা যাচ্ছিল, বিজেপি সাংসদকে সম্ভবত দিল্লির এইমসে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।

Advertisement

কিন্তু দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত জানিয়েছেন, ”খগেন মুর্মুর চোখের নিচে আঘাত রয়েছে। তবে এখনও বাইরে নিয়ে যাওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই।” ফলে শিলিগুড়ির ওই বেসরকারি হাসপাতালেই খগেন মুর্মুর অস্ত্রোপচার হতে পারে বলে খবর। অন্যদিকে  শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষও ওই বেসরকারি হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। 

অন্যদিকে প্রকাশ্যে হামলার ঘটনা ঘটলেও এখনও পর্যন্ত গ্রেপ্তারি শূন্য। যদিও ঘটনার পরেই নির্দিষ্ট করে আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনার পরেই অর্থাৎ সোমবার দুই বিজেপি নেতাদের উপর হামলাকারীদের ছবি প্রকাশ করে শাসকদলকে একহাত নেন বিরোধী দলনেতা। এরপরেই আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলেও এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এই অবস্থায় বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি।

অন্যদিকে ঘটনার নিন্দা করে বিজেপিকে একহাত নিয়েছেন তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। ফেসবুকে তিনি লিখছেন, ”খগেন মুর্মু, শংকর ঘোষের উপর যে ঘটনা, তার নিন্দা করছি। ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ এভাবে হতে পারে না। যারাই করুক, ঠিক করেনি। আইন আইনের পথে চলুক। কিন্তু বিজেপিও মনে রাখুক সব মানুষ জানেন তাদের নেতারা একশো দিনের টাকা, আবাসের টাকা সহ বহু প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করেছেন। যেটা পরে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে দিয়েছেন।”

শুধু তাই নয়, সোশাল মিডিয়ায় কুণাল ঘোষ আরও লিখছেন, ”বিজেপি বাংলা ভাষাকে অপমান করছে। বাংলাভাষীদের হয়রান করছে তাদের রাজ্যে। তারপর যদি বন্যা এলাকায় কেউ ফটো সেশন করতে ঢোকেন, তাহলে সেটাকে প্ররোচনাই ধরা ভালো। তবে যে পদ্ধতিতে বাধা দেওয়া হয়েছে, তা অবাঞ্ছিত। মুখ্যমন্ত্রীও বলেছেন, কেউ কোথাও যেতে চাইলে যাক। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনায় কেউ জড়াবেন না। মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে পুলিশ, প্রশাসন, দলের কর্মীরা বিপদগ্রস্ত এলাকায় মানুষের পাশে আছেন। যা করার করছেন।”

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ